ঘটনাটা রংপুরের,১৯ আগস্ট রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিভাগের ডেলিভারি ইউনিটের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হয় অটোরিক্সাচালক তামজিদ হোসেনের স্ত্রী আফরোজা বেগম। ২১ শে আগস্ট নরমাল ডেলিভারির সময় সমস্যা হওয়ায়,ছোটো এক অপারেশনের মাধ্যমে ডেলিভারি সম্পন্ন হয়। উক্ত অপারেশনে সেলাই করতে গিয়ে ক্ষত স্থানে সুই রেখেই সেলাই করে দেওয়া হয় বলে প্রচার করে আসছিলো নয়া-দিগন্ত সহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা। পত্রিকার পাতায় বড় বড় অক্ষরে লিখা হয় “রংপুরে প্রসূতির পেটে সুই রেখে সেলাই”।
কিছু সাংবাদিকদের এই অপসাংবাদিকতায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে রংপুরের চিকিৎসা সমাজ।
বিস্তারিত বলতে গিয়ে সার্জারি বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর হৃদয় রঞ্জন চৌধুরী বলেন
মিড লেভেল ডাক্তাররা এপিসিওটমি ক্লোজ করার সময় একটি নিডল ভেঙ্গে আটকে যায়। তাৎক্ষনিক তা পাওয়া না গেলে পরে এক্সরের মাধ্যমে লোকেট করে বের করে ফেলা হয়। রোগীর কোন ক্ষতি হয়নি। রোগী ভাল আছে।
এখানে কোনো আয়া বা বুয়া অপারেশন করেনি। প্রথমে মিড লেভেল ডাক্তাররা করেছে এবং পরেরবার সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধান নিজেই করেছেন। এক্সরে করতে রোগীর লোক নিজেই বাইরে গিয়েছিল। সেখান থেকে (এক্সরে রুম) ঘটনা নিয়ে পানি ঘোলা হতে শুরু করে। অথচ যে কোন অপারেশনের ক্ষেত্রেই এমন দূর্ঘটনা (ফরেইন বডি) আহামরি কিছু নয়। সারা পৃথিবীতেই যুগ যুগ ধরে এমনটা হয়েছে। টেক্সট বই/ মেডিকেল জার্নালেও এসবের উল্লেখ আছে। তবে অবশ্যই রোগীদের প্রতি আরও যত্নশীল, মনোযোগী এবং আন্তরিক থাকা বাঞ্চনীয়। এসব বিষয় এড়াতে সর্বচ্চ সতর্কতা ও সাবধান থাকতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে মিডিয়া কর্মীর ভাইয়েরা যা বাড়াবাড়ি করেছে তাতে অত্র হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মক ব্যহত হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম স্থবির হয়ে যেতে পারে।
বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যখন প্রচারিত হচ্ছিল যে, ‘প্রসূতির গোপনাঙ্গে সুই রেখে এল ডাক্তাররা’ তখন কিন্তু সেই সুই ইতোমধ্যেই বের করে ফেলা হয়েছে। অথচ মিথ্যা মুখরোচক প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে সম্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা।
এসময় তিনি প্রত্যেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একটি মিডিয়া সেন্টার চালু রাখার দাবী জানায়।
উক্ত ঘটনায় ডাক্তার রিফাত করীম রিংকি জানায় রোগীর লোকজন হাসপাতালে এক্সরে না করে বাইরে এক্সরে করতে যায়। এসময় বাইরের কিছু লোকজনের কথায় তারা ভুল বুঝে,এক্সরে করে আসার পরে এক্সরে প্লেট দেখে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে ম্যাডাম নিজেই নিডল বের করে দেন।এমনকি রোগীকে এখনো ছাড়াও হয়নি।অবজাভেশনে রাখা হয়েছে।
আরেকজন চিকিৎসক সংবাদ মাধ্যমকে প্রশ্ন করে বলেন
“এত লো কোয়ালিটির নিডল হাসপাতাল অথবা সার্জিকালে কি করে আসে কিন্তু আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা সচরাচর যা করে থাকেন বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার বদলে পাবলিক গেলানো সংবাদ পরিবেশন করে থাকেন। ঠিক সেটাই হয়েছে।