শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
বিশ্বের বহু দেশের মতো ২০১৯ সাল থেকে প্ল্যাটফর্ম অব মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল সোসাইটির হাত ধরে প্রতি বছরের ১-৭ এপ্রিল পালিত হয়ে আসছে ‘চিকিৎসক সপ্তাহ’। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল থেকে দেশব্যাপী উদযাপিত হবে ‘চিকিৎসক সপ্তাহ-২০২৫’। তবে দেশের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র ঈদুল ফিতরের জন্য এবারের চিকিৎসক সপ্তাহ ১-৭ এপ্রিলের স্থলে ১৯-২৫ এপ্রিল পালিত হবে।
এবারের চিকিৎসক সপ্তাহ আয়োজনে প্ল্যাটফর্ম অব মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল সোসাইটির সঙ্গী হয়েছে আরো ৯টি চিকিৎসক সংগঠন–বাংলাদেশ মেডিকেল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন, মেডিসিন ক্লাব, বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন, ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস, ডাক্তারখানা, বিডি ফিজিশিয়ানস, প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়া, সাড়া এবং প্ল্যাটফর্ম।
চিকিৎসক সপ্তাহ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী আয়োজনে থাকবে – দাবি-দাওয়া ও অপ্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা, স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার বিষয়ক ক্যাম্পেইন, পোস্টারিং, ব্যানারিং ও শুভেচ্ছাবার্তা, আলোচনা সভা, ওয়েবিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
চিকিৎসক সপ্তাহ উপলক্ষে-স্বাস্থখাত সংস্কার আবশ্যক ফরজ যার সমাধান বা সঠিকভাবেপুনর্গঠন প্রসংগে ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের ক্ষুদ্র কিছু আলোচনা-
দূর্নীতি,অনিয়ম বৈষম্য হয়েই আশতেছে যুগ যুগ ধরে স্বাস্থখাতের সর্ব ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র-ঝামেলা ভেজাল ভেবে বা টাকার পাহাড়ে বিক্রি হয়ে কার্যত কোনো ব্যাবস্থা না নিয়ে এড়িয়ে জাওয়া বা মান ইজ্জতের বলি দিয়ে টাকার মাধ্যমে সমঝোতা করে নেয়া,আত্যাধিক গুজব প্রচার সাথে সত্য প্রচার না হওয়া,চিকিৎসকদের যোগ্যতাঅনুযায়ী নির্দিষ্ট সম্মানিত বেতন কাঠামো না থাকা আর “মূলত চিকিৎসকদের ক্ষমতার অভাব,নন মেডিকেল পার্সন আমলাদের অমলান্ত্রিক জটিলতা”,অনেকাংশেই নিজেদেরি সদিচ্ছার অভাবে।
নন মেডিকেল হিসেবে আমলা বা মালিকপক্ষ বা যে কেও নিজস্বভাবে,নিজ স্বার্থে চিন্তা করাই স্বাভাবিক।
কারন একজন চিকিৎসক এর জীবনের বিস্তারিত জানা,বোঝা বা উপলব্ধি করা বা স্বাস্থব্যাবস্থায় প্রয়োজনীয় বিষয়াদির বিস্তারিত কোনো নন মেডিকেলের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বুঝা কখনোই সম্ভব না।এজন্যেই চিকিৎসক সমাজের জীবনব্যাবস্থার সাথে ব্যালেন্স করে এই দেশের স্বাস্থ ব্যাবস্থার সিস্টেম লসের পুন:প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে বেশিরভাগ উন্নত বহির্বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে একজন”সৎ চিকিৎসক উপদেষ্টা”বা এই সেক্টরের”ক্ষমতায়-সৎ চিকিৎসক”ব্যাতিত কোনো বিকল্প নাই।
অন্যথায় সর্বদাই একটা গেপ বা অসহযোগীতামূলক মনোভাব, মনোক্ষুন্নতা আর বৈষম্যের পাশাপাশি সিস্টেম লস আর *জনবল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সরঞ্জামাদির ঘাটতি,ওষুধ আর অপ্রয়োজনীয় টেস্টের অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত মূল্য,মূল্যবৃদ্ধির যে প্রহসন,অন্যদিকে উলটোধারায় নিজেদের স্বার্থের তাগুদে চিকিৎসকদের সম্মানহানিতে মত্ত, অসম্মানজনক সেলারি বা সেলারিতে ধস তা সমগ্র হসপিটালগুলোতে এবং সর্বত্রই- থেকেই যাবে।
সাথে উপযুক্ত সম্মান,সম্মানীর ঘাটতি (যা কখনো ছিলোই না), বিশেষত স্বাস্থ্যসেবায় বিভিন্ন গুজব বরো মিডিয়াগুলো থেকে শুরু করে সর্বত্রই,অনিরাপত্তা,চিকিৎসকদের জান মালের উপর হুমকি রয়েই যাবে।
সর্বদা,সর্বদাই।
আর এসবের সমাধানে,সুস্থ চিকিৎসাসেবার প্রয়োজনে স্বাস্থব্যাবস্থা সুরক্ষা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে-শক্তিশালী এক্টিভ রেফারেল সিস্টেম,নিজস্ব/হেলথ সেক্টর উকিল বা প্রয়োজনীয়,নিজস্ব শক্তিশালী মিডিয়া গুজব প্রতিহত আর সত্য প্রচারের নিমিত্তে,স্ট্রং ডিফেন্স বাহিনী ফর হেলথ সেক্টর,যোগ্যতাঅনুযায়ী চিকিৎসক সম্মানিত নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো গঠন সর্ব সেক্টরেই এ দেশের জন্যে আবশ্যিক-যা কখনোই সম্ভব হবে না।
সেক্ষেত্রে সর্বদাই একটা গেপ,মনোমালিন্য, বৈষম্য রয়েই যাবে যা নন মেডিকেল আমলাতন্ত্রের বোঝার ক্ষমতার উর্ধ্বে।
অথচ তারা ভাববেই তারাই ঠিক-চিকিৎসক সমাজকে ত সাহায্যই করা হচ্ছে,দেশের উপকারি করা হচ্ছে,স্বাস্থব্যাবস্থা সংস্কারি হচ্ছে-তবু কোথায় সমস্যা?কি সমস্যা?চিকিৎসক সমাজেরি বা কি সমস্যা?
*দিন শেষে দোষী চিকিৎসক সমাজি হবে যা একচুয়ালি এই দেশের মূর্খ বিবেকহীন অচলমস্তিষ্কের সকলেই নিজ নিজ স্বার্থের খাতিরে চায় এবং করেই আশছে।
এতে সার্বিক ক্ষতি কাদের কেও ভাবে না,কেও না,সব টাকা আর স্বার্থ।
কারন-এ জাতি আবেগপ্রবণ,কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের,বেশিরভাগ অচল মস্তিষ্কের,বিবেকবর্জিত,স্বার্থপর আর হুজুকে পরিচালিত।
(ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আশাবাদি।
মহান আল্লাহ হেদায়েত হেফাজত ক্ষমার মালিক।
ধন্যবাদ)