দেশে একের পর এক চিকিৎসকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটছেই। বর্তমানে কর্মস্থলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার অভাব প্রকটতর হয়ে উঠেছে।
এবার কর্মস্থলেই হামলার স্বীকার ও অস্ত্রের মুখে চিকিৎসকে জিম্মির ঘটনা ঘটেছে খুলনা নগরীর খালিশপুরে। ৮ ই সেপ্টেম্বর ভোররাতে উক্ত ঘটনা ঘটে।
নগরীর মুজগুন্নী শেখ পাড়া এলাকার বাসিন্দা শওকত সর্দারের ছেলে ও সিটি পলিটেকনিকের ছাত্র রিপন সর্দারকে (২৪) বুকে ব্যাথা অনুভব করায় রাত ১২টার দিকে খালিশপুর ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসা দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রিপনের মৃত্যু হয়। এতো অল্প সময়ের মধ্যে রোগীর মৃত্যুতে স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে চিকিৎসককে মারধোর করে চিকিৎসকসহ রিপনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানেও রোগীর স্বজনরা দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে সেখান থেকে কায়েস ও কৌশিক নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে খালিশপুর ক্লিনিকের মালিক ডাক্তার মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, রাত ১২টার পরে একটা রোগী আসে বুকে ব্যাথা নিয়ে। তাকে সম্ভাব্য সব চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়। কিন্তু রোগীর স্বজনরা কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সুজাউদ্দিনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে অস্ত্রের মুখে খুমেক হাসপতালে নিয়ে যায়। সে গুরুতর অবস্থায় খুমেক হাসপাতালে অর্থপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।
উক্তঘটনায় ক্ষুব্ধ খুলনার চিকিৎসক সমাজ,খুলনা মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসক বলেন গতকয়েকমাস ধরে চিকিৎসকদের প্রতি বিভিন্ন পর্যায়ে ঢালাও বিরুপ বক্তব্য এবং ব্যাবস্থা গ্রহনের ফলে চিকিৎসকরা এখন দেশের সবচেয়ে অসহায় প্রানীতে পরিণত হয়েছে।
প্ল্যাটফর্ম ফিচার রাইটার
ওয়াসিফ হোসেন
নপ্রামেক,রংপুর
২০১৩/১৪