প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৯ জুলাই ২০২০, রবিবার
মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ হতে প্রায় ৩৪ হাজার মানুষের মৃত্যুর পর স্বাভাবিক হচ্ছে এখন ইতালির জীবনযাত্রা। এমন সময় বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বেশ ক’জন প্রবাসীর শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় বাংলাদেশী প্রবাসীদের। তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয় দেশে এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে সাময়িকভাবে বিমান চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দেয় ইতালি। সেই সাথে ইতালিতে বাংলাদেশিদের আজীবন নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে। দেশটির ইমিগ্রেশন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এই নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা’র প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে। সংবাদমাধ্যমটির বাংলা ভার্সনে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ইতালির ইমিগ্রেশন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশিদের দেশটিতে আজীবন নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে।
গেল সপ্তাহে ইতালির গণমাধ্যমেও বাংলাদেশিদের নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। দেশটির প্রভাবশালী একাধিক সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করে, মাত্র ৩ হাজার টাকায় বাংলাদেশে করোনার নেগেটিভ সনদ পাওয়া যায়। এসব সনদ দিয়ে বাংলাদেশিরা ইতালি যাচ্ছেন। করোনায় আক্রান্ত বাংলাদেশিরা দেশটিতে যাওয়ার চেষ্টা করায় ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত চরম ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তারা জানান, ভুয়া করোনা সনদ নিয়ে রোমে আসা সত্যিই দুঃখজনক। এ বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে বলেন,
“অন্য দেশের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য জাতি খেসারত দিতে পারে না। আমরা অনেক কষ্ট করে করোনা মোকাবিলা করেছি।”
গত ৬ জুলাই একটি বিশেষ ফ্লাইটে ২৭৪ জন বাংলাদেশি রোমে যান। তাৎক্ষণিকভাবে যাত্রীদের মধ্যে ৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তাদের কাছে পাওয়া যায় করোনার জাল সার্টিফিকেট। তা এখন ৩৬ থেকে বেড়ে এখন ৭৭ জনে পৌঁছেছে।
এ ঘটানার পরই দেশটিতে বাংলাদেশিদের যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইতালির সরকার। আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি ইতালি যেতে পারবেন না বলে ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘গুটি কয়েক লোকের জন্য দেশের বদনাম হচ্ছে।’