ছেলেবেলা থেকে বিটিভিতে শুক্রবারের আলমগীর শাবানাসমৃদ্ধ পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবিসহ কোন বিনোদনমুলক অনুষ্ঠানই মিস করতাম না।এরমধ্যে সবচেয়ে যে অনুষ্ঠানটি প্রিয় ছিল তা হল “ইত্যাদি” ।কিন্তু আজকের পর্বটি দেখে আমি পুরাই অবাক।শেষমেশ ইত্যাদি ও ডাক্তারদের নিয়ে নেতিবাচক আয়োজন।চলুন দেখে নেওয়া যাক তার কিছু নমুনাঃ
১. প্রত্যন্ত অঞ্চলের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন মেডিকেল অফিসার তার হাসপাতাল কে পরিচ্ছন্ন রাখতে “হাসপাতাল কে পরিচ্ছন্ন রাখুন” নামক প্লাকার্ড গলায় ঝুলিয়েছেন, কর্মচারীদের কে সচেতন করেছেন,খুব ভাল কথা। কিন্তু হাসপাতালের টয়লেট ও যখন উনি নিজে পরিষ্কার করতে নামেন তখন সেটাকে আর সাধুবাদ দেওয়া যায় না। ডাক্তারের কাজ চিকিৎসা দেওয়া,সুইপারের কাজে অংশ নেওয়া নয়।
২.এক ডাক্তার তার সেলফোন সার্ভিসিং এর জন্য মিস্ত্রির কাছে গেলেন।আগে এক বার ঠিক করে নেওয়ার পর ও মিস্ত্রির ভুলের কারণে ফোনটি আবার নষ্ট হয়েছে যেটা মিস্ত্রি নিজে স্বীকার করেছে। ঠিক করে দেবার পর আবার বিল চাইলো মিস্ত্রি। কারন জানতে চাওয়ায় সে বলে ডাক্তারের কাছে প্রথমবার দেখানোর পর দ্বিতীয় বার দেখানোর সময় আবার ভিজিট দিতে হয়, এজন্য তার ও এখন বিল।হিউম্যান বডির সাথে ফোনের তুলনা,রাম ছাগলামি বৈকি।
৩.প্রতিষ্ঠিত এক ডাক্তারের চেম্বারে এক রোগী আসলো। ডাক্তার যখন বললেন রোগীর অবস্থা ভাল না, আরো আগে আসতে হত।কিন্তু রোগীর মতে তিন মাসের আগে ওই ডাক্তারের সিরিয়াল পাওয়া যায় না,সেটাও ডাক্তারের দোষ।ভাই থামেন,ডাক্তার তো আর একটা না, যে কোন বিশেষজ্ঞ কে দেখালেই হয়, কিন্তু রোগী যখন মনে করে ওই ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগবে তখনই দেখতে হয় লম্বা সিরিয়াল, যেটাতে ডাক্তারের কোন হাত নাই।
শেষকথাঃ শত সমালোচনার পর ও ডাক্তাররা সব সহ্য করে মুখ বুজে,সেবা দেয় নীরবে নিভৃতে। কারন, মানুষের পেছনে লাগার শিক্ষা তাদেরকে দেওয়া হয়নি, দেওয়া হয়েছে সেবার আলোকবর্তিকাকে জ্বেলে ধরে স্রষ্টার অনুগ্রহ কে কাছে পাবার শিক্ষা।
#হ্যাপি_ডাক্তারি
রাশেদুল ইসলাম রানা
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট।
নেতিবাচক ও ইতিবাচক দুইই ছিল। কোন প্রফেশন ই নেতিবাচকতার উরধ্বে নয়।