৩১শে জানুয়ারি, শুক্রবার,২০২০
করোনা ভাইরাস এখন বিশ্বব্যাপী এক আতঙ্কের নাম। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চীনে এখন পর্যন্ত ২১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি সম্পর্কে জানা যায়। এরপর ভাইরাসটি দ্রুত আরো ২০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে জাপান, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ কমপক্ষে ২৩টি দেশে ৯৮ জনের মধ্যে এই সংক্রমণের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে পাঁচজনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ আতঙ্কের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। যদিও ইনফ্লুয়েঞ্জার ঘটনা নতুন নয় সেখানে। গত কয়েক বছর যুক্তরাষ্ট্রে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে।
সিএনএন তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত। এতে এক মৌসুমেই প্রায় ৮ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির জাতীয় এলার্জিক ও সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, গত এক দশকে ২০১৯-২০২০ সালের মৌসুম সবচেয়ে ভয়াবহ যাচ্ছে। এ মৌসুমে ফ্লু সংক্রান্ত জটিলতায় হাসপাতালে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ ভর্তি হয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা এ সংখ্যা আরো বড়তে পারে।
এ বিষয়ে টেম্পল ইউনিভার্সিটির লুইস কাৎজ স্কুল অব মেডিসিনের প্রধান ড. মার্গোট সোভয় বলেন, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা মার্কিনদের জীবনের একটি নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে বিষয়টি কেউ গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে না। আর এ কারণেই এতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এত বিশাল।
ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা মেডিকেল স্কুলের চিকিৎসক নাথান কোমিলো বলেন, বিষয়টি সবাইকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভয়াবহ হতে পারে। একটি আশঙ্কাজনক বিষয় হচ্ছে এটি প্রতিবছর নানা পরিবর্তন নিয়ে উপস্থিত হয়। যার ফলে ভাইরাস শনাক্ত পরীক্ষা ও চিকিৎসাতেও পরিবর্তন আনতে হয়।
তথ্যসূত্র : সি এন এন
নিজস্ব প্রতিবেদক
আব্দুল্লাহ আল মামুন