মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আজ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে ফুসফুস স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘দ্য ইউনিয়ন ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স’। যক্ষ্মা ও ফুসফুসের রোগবিষয়ক আন্তর্জাতিক মোর্চা দ্য ইউনিয়ন ৫৫তম এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
সারা বিশ্বের তিন হাজারের বেশি প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। এ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের চারজন প্রতিনিধি ছাড়াও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০ জন প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন।
মোর্চা দ্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গে মার্কস সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, “যেসব দেশে যক্ষ্মা রোগী আছে, সেসব দেশে নতুন সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এসব দেশে বহু মানুষের যক্ষ্মা হচ্ছে, কিন্তু তাদের কোনো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। এরা যক্ষ্মা ছড়ানোর বড় ঝুঁকির কারণ। যক্ষ্মা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে, জনসমাগম কমাতে হবে। বাড়িঘর ও প্রতিষ্ঠান খোলামেলা রাখতে হবে। প্রয়োজনে প্রত্যেক মানুষের যক্ষ্মা পরীক্ষার দিকে যেতে হবে।”
সম্মেলনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেন আইসিডিডিআরবির সংক্রমণ রোগ বিভাগের বিজ্ঞানী এস এম মাজেদুর রহমান বলেন, দেশের প্রায় সব জেলায় এই পরীক্ষা হচ্ছে।
কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মল পরীক্ষা করলে শিশুদের যক্ষ্মা যথাযথভাবে শনাক্ত করা যায়, তা নিয়ে বক্তব্য দেন আফ্রিকার গবেষক ও বিজ্ঞানীরা। তিন ঘণ্টার এই অধিবেশনের একজন সভাপতি ছিলেন আইসিডিডিআরবির সংক্রমণ রোগ বিভাগের পরিচালক সায়রা বানু। বিকেলের একটি অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে যক্ষ্মা রোগীদের পুষ্টিসহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়। একই অধিবেশনে বলা হয়, অভিবাসনের কারণে যক্ষ্মা বাড়ছে। এর জন্য অভিবাসীরা দায়ী নন।
সম্মেলনের অন্য একটি অধিবেশনে যক্ষ্মার নতুন টিকা তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়। তাতে বলা হয়, প্রায় এক ডজন ওষুধের পরীক্ষা শেষের দিকে। এর মধ্যে পাঁচটির পরীক্ষা–নিরীক্ষা ‘ট্রায়াল ফেজ–৩’ পর্যায়ে আছে। এসব ক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরীদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আজ শুরু হওয়া এ সম্মেলন আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদক: মঈন উদ্দিন আহমদ শিবলী