রোগীর টিবিয়া ফ্র্যাকচার ছিল। এই ফ্র্যাকচার থেকে পালমোনারী এম্বোলিজম হওয়া বিরল হলেও অস্বাভাবিক কিছু না। অর্থোপেডিক্সের রোগী হলেও এই কেস নিয়ে মেডিসিন এবং রেসপিরেটরি মেডিসিনের প্রফেসররা মেডিকেল বোর্ড করেছেন। রোগীকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। বাঁচার সম্ভাবনা অনেক কম ছিল।রোগীর এটেন্ডেন্সদের সেভাবে কাউন্সেলিংও করা হয়েছিল। তারপর রোগীটা সকালে মারা গেলে ভুল চিকিৎসা হয়েছে দাবী করে তাঁর কয়েকজন আত্মীয়স্বজন এসে একজন এসিস্ট্যান্ট রেজীস্টারের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করে এবং একপর্যায়ে তাঁর গায়ে হাত তোলে। ডক্টর্স রুমে ভাংচুর চালায়। পরবর্তিতে কিছু ইন্টার্নদের সাথে বচসা হয় । পুলিশ এসে সেই বিশৃংখলাকারীদের না ধরে আরেকজন চিকিৎসককে ধমকাতে থাকে কেন রোগীর আত্মীয়দের গায়ে হাত তোলা হল। এতে পুলিশের সাথেও বাকবিতন্ডা শুরু হয় এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দোষীরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য ইউনিটের মেইন গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু সাংবাদকর্মীরা গেট খোলার জন্য জোর জবরদস্তি শুরু করে। পরবর্তিতে সিনিয়র প্রফেসরদের হস্তক্ষেপে সাংবাদিকদের হেড অব দ্যা ডিপার্টমেন্টের রুমে নিয়ে ব্রিফ করা হয়। সবশেষে তারা ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে সংবাদ সংগ্রহ করছে। এই হল শেরেবাংলা মেডিল কলেজ, বরিশালের পরিস্থিতি । বারডেম জেনারেল হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল , রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর এবার শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল । একই ঘটনা বার বার ঘটলে সেটা দূর্ঘটনা নয়, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা ধ্বংসে চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে এখনই দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হোক ।
১৮.০৫.১৪
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদক, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল ।