প্ল্যাটফর্ম নিউজ,
বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০
দিনদিন দেশের বিভিন্ন জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নতুন নতুন জেলায় মিলছে করোনা রোগীর সন্ধান। করোনার ছোবলে আক্রান্ত সমগ্র বাংলাদেশ।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সকালে মারা যান নূর আলম খান নামের ৪৩ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তি। মারা যাবার পর তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। খুলনায় করোনায় আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা এটাই প্রথম।
মৃত নূর আলম খান খুলনার রূপসা উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ৫ দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। জানা যায়, তিনি একটি মোবাইল সার্ভিসিং কোম্পানিতে কাজ করতেন।
জানা যায়, সকাল পৌনে নয়টার দিকে নূর আলম খানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর স্বজনেরা। হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানান হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার আশরাফুর রহমান। যেহেতু তাঁর মধ্যে করোনার উপসর্গ ছিল, সে কারণে নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। পরবর্তীতে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রাত পৌনে আটটার দিকে পরীক্ষার রিপোর্ট আসে।
অন্যদিকে, কয়েক দিন আগে খুলনা নগরের করিমনগর এলাকায় যে ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল, তাঁর শরীরে আর করোনাভাইরাস নেই। আজ ওই পরিবারের তিনজন সদস্যসহ করোনায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানে কারও শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল আহাদ বলেন,
“সকালে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। অন্যদিকে খুলনা নগরের করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠছেন।”
রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বলেন,
“রূপসার মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির বাড়ির আশপাশের ২০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তাঁদেরও বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।”
জানতে পারা যায়, গতকাল (২১ এপ্রিল) খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে দুই দফায় মোট ১৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে এক জনের দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক/ অংকন বনিক জয়