আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরষ্কার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ইনোভেশন এর গল্পের প্রথম পর্ব আজ।
গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি, রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় “বেস্ট প্র্যাকটিস” এর জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার ২০১৭ বিতরন করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে মোট ৫০টি পুরষ্কার দেয়া হয়েছে।
পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের পূর্বে বিজয়ীদের নিয়ে আলাদা টেকনিক্যাল সেশন এর আয়োজন করা হয়েছিলো যেখানে তারা কেন ভালো স্কোর পেয়েছেন, নিজেদের কি ইনোভেশন ছিলো সেগুলো জানিয়েছেন। এত চমৎকার কিছু ইনোভেশন উঠে এসেছে যা না জানলেই নয়। তাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বেস্ট প্র্যাকটিস ইনোভেশন এর ধারাবাহিক গল্প শুরু করছি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার ইউএইচএফপিও ডা: মো: আব্দুর রশিদ কে দিয়ে।
উপজেলায় প্রতি মাসে হাসপাতালের কর্মচারী ও ফিল্ড স্টাফদের নিয়ে মাসিক মিটিং হয়। ফিল্ড স্টাফগণ কমিউনিটি সার্ভিস যেমন টিকাদান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ইত্যাদি নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। তাই তাদের পারফরমেন্স মনিটরিং জরুরী। এই কাজটিই ডা: আব্দুর রশিদ স্যার করছেন খুব চমতকারভাবে। তিনি ফিল্ড স্টাফদের মিটিং এ তাদের বসান কাজের পারফর্মেন্স এর উপর ভিত্তি করেন অর্থাৎ যে যত ভালো কাজ করে, টার্গেট পুরন করে সে তত সামনে বসে এবং যে যত খারাপ করে সে তত দূরে। ফলে সামনে যারা বসছে তারা নিজেদের কাজের মূল্যায়ন স্বরূপ সম্মানিত বোধ করে আর পেছনের দিকে যারা বসেছে তাদের মাঝে তৈরি হয় অনুশোচনা। ইতিমধ্যে এই প্রক্রিয়াটি ফিল্ড স্টাফদের মাঝে একটি প্রতিযোগীতার সৃষ্টি করেছে এবং সবাই নিজেদের টার্গেট পুরন করায় সচেস্ট হয়েছে কার। কেউই পেছনে বসে থাকতে চায় না!
চমৎকার এই ইনোভেশন এর জন্য সেইসাথে শীর্ষ উপজেলা ক্যাটেগরিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরষ্কার ২০১৭ পাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই লালমোহন উপজেলার ইউএইচএফপিওসহ সকল চিকিতসক ও অন্যান্য স্টাফদের। আপনাদের এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকুক।
লিখেছেনঃ ডা. মারুফুর রহমান অপু, মেডিকেল অফিসার Center for Medical Biotechnology, DGHS।