৫ এপ্রিল ২০২০: গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এ নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরো ১৮ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন আরো ১ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগী ৮৮ জন, মোট মৃতের সংখ্যা ৯ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ৩৩ জন।
দুপুর ০২.০০ ঘটিকায় এক ভিডিও ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনাব জাহেদ মালিক স্বপন।
এছাড়া অনলাইনভিত্তিক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪টি কেন্দ্রে মোট ৩৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
নতুন আক্রান্ত ১৮ জন রোগীর ১৫ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ১২ জন ঢাকা, ১ জন মাদারীপুর ও ২ জন নারায়ণগঞ্জের অধিবাসী। তাদের ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা আইইডিসিআর এ হয়েছে, বাকি ৫ জনের নমুনা অন্যান্য হাসপাতালে পরীক্ষিত হয়েছে। নতুন শনাক্ত ১৮ জনের মধ্যে ২ জনের বয়স ১১-২০ বছর, ২ জন ৩১-৪০ বছর, ৪ জন ৪১-৫৯ বছর, ৯ জন ৫১-৬০ বছর এবং ২ জনের বয়স ৬০ বছরের উপরে।
তিনি আরো জানান, মৃত ব্যক্তি ছিলেন ৫৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ, তিনি নারায়ণগঞ্জের অধিবাসী ছিলেন। চিকিৎসাধীন ৪৬ জন রোগীর মধ্যে ৩২ জন হাসপাতালে ভর্তি, ১৪ জনের মৃদু লক্ষণ থাকায় তারা নিজেদের বাড়িতেই চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।
অধ্যাপক ডা. মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরো জানিয়েছেন, দেশে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন থাকলেও তা এখনো এলাকাভিত্তিক পর্যায়ে রয়েছে। কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় এই সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। যেমন, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন, বাসাবোতে ৯ জন, টোলারবাগে ৬ জন, বৃহত্তর মিরপুরে ১১ জন শনাক্ত রোগী রয়েছে। এসব এলাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মৃদু লক্ষণ থাকলেও এসব এলাকায় রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা রাতদিন কঠোর পরিশ্রম করে কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তবে এই মহামারি রোধের দায়িত্ব দেশের প্রতিটি মানুষের উপর বর্তায়। এলাকাভিত্তিক সংক্রমণ যেন পুরো দেশে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য চাই ব্যক্তি পর্যায়ের সচেতনতা। আর তাই সবাইকে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে সচেতন থাকার এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
নিজস্ব প্রতিবেদক/সামিউন ফাতীহা