প্লাটফর্ম নিউজ, শনিবার, ৩০মে, ২০২০
সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হিসেবে প্লাজমা থেরাপি অন্যতম ভূমিকা পালন করছে। প্লাজমা ডোনেশনের মাধ্যমে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসছে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীরা। প্লাজমা দানের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত জটিল অবস্থায় সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে দুই ভাইবোন – মাহপারা তাসনীম ও মাশরুর তাহমিন।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থী মাহপারা তাসনীমের মা–বাবা দুজনেই চিকিৎসক। বাবা, ডা. মশিউর রহমান হবিগঞ্জের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক। মা, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হেলেনা আফরিন। বোন মাহপারা তাসনীম, ভাই মাশরুর তাহমিন ও মা ডা. হেলেনা করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। গত ২৭শে মে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে দুই ভাই বোন স্বেচ্ছায় প্লাজমা দান করেন। দীর্ঘদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর যখন পরীক্ষা করে দেখা যায় দুই ভাইবোনই সুস্থ, সেই সময়ই তারা প্লাজমা দান করার সিদ্ধান্ত নেন। জানা গেছে দুজনের প্লাজমা আইসিইউ তে থাকা একজন গুরুতর রোগীর জন্য দেওয়া হয়েছে।
মাহপারা তাসনীম মনে করেন, যেহেতু তাদের প্লাজমাটা একজন অসুস্থ মানুষের কাজে লাগবে তাই এটা তাদের দায়িত্ব। পাশাপাশি অন্যকে সাহায্য করার এটা একটা সুযোগও। যাঁরা শারীরিকভাবে সক্ষম, সবার উচিত প্লাজমা দিয়ে সাহায্য করা। তিনি জানান, যখন আক্রান্ত ছিলেন, তখন খারাপ একটা সময় গেছে। ভাই আর তিনি সুস্থ হয়ে গেলেও তাঁদের মায়ের সুস্থ হতে সময় লেগেছে। তবে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে এবং আরেকজনকে একই রোগ থেকে সেরে ওঠায় সাহায্য করতে পেরে মাহপারার পরিবার খুশি।
মাহপারা ও মাশরুরের বাবা মশিউর রহমান জানান, এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে উনার ছেলেমেয়েরা সাহস করে এগিয়ে এসেছে।তিনি চান মানুষের ভীতিটা কাটুক। যাঁরা সুস্থ হয়েছেন তাঁরাও এগিয়ে আসুক।
কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাওয়া ব্যক্তির রক্তের প্লাজমায় এর অ্যান্টিবডি রয়েছে, যা সংগ্রহ করে কোভিড আক্রান্ত রোগীর শরীরে দেওয়া হলে সাময়িক প্যাসিভ ইমিউনিটি তৈরি হয়। এই অ্যান্টিবডি সার্স করোনা-২ ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে এবং রোগী সুস্থ হতে থাকে। করোনা থেকে সুস্থ ব্যক্তির দানকৃত প্লাজমা বাঁচাতে পারে একজন মানুষ। প্লাজমা ডোনেশন খুবই সহজ এবং নিরাপদ একটি প্রক্রিয়া।
তাই করোনা জয়ী ব্যাক্তি স্বেচ্ছায় প্লাজমা দান করতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন।
https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLSfy3zBMnOSR7klk7lTacZ02oFQT5ZUBat0XGKQ8Cyh3cLrVKA/viewform 
নিজস্ব প্রতিবেদক/নিয়াফ নূকরাহ্