প্ল্যাটফর্ম নিউজ
রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২০
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। সারাবিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ২ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে কয়েকদিন আগেই। পৃথিবীব্যাপী মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যুর মিছিলে বাংলাদেশিদের নাম প্রায় প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে। নিউইয়র্ক শহরে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১০ বাংলাদেশি। এ নিয়ে নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১১টা পর্যন্ত গত ২৯ দিনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ১৭০ বাংলাদেশির মৃত্যু হলো। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কমছে নিউইয়র্কে। গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো জানান,
“আগের দিন অঙ্গরাজ্যে ৬০৬ জনের মৃত্যু হয়। আর ১ হাজার ২০০ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় এক দিনে নিউইয়র্কে করোনায় মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির এই সংখ্যাকে অবস্থার উন্নতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।”
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের লকডাউনের মেয়াদ ১৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো নিজেই বলেছেন,
“পরিস্থিতি এখনো লকডাউন তোলার মতো পর্যায়ে যায়নি। ধাপে ধাপে ব্যবসা-বাণিজ্য খুলে দেওয়া হবে। অবস্থার উন্নতি অব্যাহত থাকলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কুমোর মতে সামনের এক মাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এক মাস পর পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা তিনি নিজেও জানেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন। উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, এখন যাঁরা হাসপাতালে আসছেন, তাঁরা চরম সংকটজনক অবস্থায় আসছেন। হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটগুলো চাপ সামাল দিতে পারছে না। প্রতিদিন শুধু নিউইয়র্ক নগরীর হাসপাতালেই ৮০০ থেকে ৯০০ জনকে সংকটজনক অবস্থায় আইসিইউ ইউনিটে পাঠাতে হচ্ছে। নগরীর এসব হাসপাতালকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৭০ জন সংকটজনক রোগীকে সামাল দিতে হচ্ছে। এসব রোগীর মধ্যে কতজন ফিরবেন, তা নিয়ে উদ্বেগ বিরাজ করছে। ব্রুকলিনের একটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার পিয়া ড্যানিয়েল নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, “আইসিইউতে থাকা রোগীদের অধিকাংশের অবস্থাই সংকটজনক।” বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে লোকজনকে সতর্কভাবে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে। ফেডারেল অর্থ সহযোগিতা অনেকেই ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৮ হাজার ৯১০ জন। নিউইয়র্কে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪২ হাজার ৫৭০ জন। মারা গেছেন ১৭ হাজার ৫২০ জন। প্রসঙ্গত, করোনা প্রতিরোধে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হয়ে, নিজগৃহে অবস্থান করেই সুস্থ ও নিরাপদ থাকা সম্ভব।
নিজস্ব প্রতিবেদক/ অংকন বনিক জয়