রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
খাদ্যবাহিত রোগে প্রতিবছর বিশ্বে ৪ লাখ ২০ হাজার শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির মতে, মারা যাওয়া এসব শিশুর বয়স পাঁচ বছরের নিচে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এক গবেষণা প্রবন্ধে এ তথ্য তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম।
প্রবন্ধে বলা হয়, খাদ্য বিভিন্নভাবে দূষিত হয়। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস (ছত্রাক), কেমিক্যাল (রাসায়নিক পদার্থ), বিষাক্ত উপাদান। এ ছাড়া, শারীরিকভাবে প্রস্তুত করার সময়ও খাবার দূষিত হতে পারে। খাদ্য বিষাক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ ফরমালিন, ইউরিয়া ও ক্যালসিয়াম কারবাইড ব্যবহার।
প্রবন্ধে বলা হয়, ২০২০ সালে বাংলাদেশে কেবল ডায়রিয়ায় ৩৫ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল এবং ২০২২ সালে কলেরায় মারা গিয়েছিল ১ হাজার ৪০০ মানুষ।
উপস্থাপনায় খাবার সংরক্ষণের বিষয়ে খালেদা ইসলাম বলেন, ‘খাবার সংরক্ষণে আলাদা আলাদা তাক ব্যবহার করতে হবে। সঠিক উপায়ে রান্না করতে হবে। সঠিক তাপমাত্রা সংরক্ষণ এবং নিরাপদ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
সেমিনারে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে খাদ্য পুষ্টিগুণ বজায় রাখা এবং উত্তম পারিবারিক অনুশীলন বজায় রাখতে হবে। সমাজের সুস্বাস্থ্য উন্নয়নে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ খাদ্য কেবলমাত্র রোগ প্রতিরোধেই সহায়ক নয়, এটি শরীরের সঠিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আজ এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুল হাসান।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আব্দুল খালেক, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ ফয়সাল ইমাম এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস প্রমুখ।
প্ল্যাটফর্ম/