ঈদটা যেন আসেই অন্যরকম সজীবতা নিয়ে।
আর ঈদের জামা!সে তো সজীবতায় দেয় প্রাণ।
আমরা অনেকেই সজীবতায় উল্লাসিত হই,কিন্তু সমাজের একটি অংশ রয়ে যায়,যাদের ঈদের খুশী দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন জোগাড়ের সংগ্রামেই।এই অসহায় আর সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর চোখে-মুখে ঈদের খুশী দেখতেই চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের “কিছু মুখের হাসি” নামক একটি টিম গঠন করে উদ্যোগটি হাতে নেওয়া হয়।ছোট একটি উদ্যোগে এগিয়ে আসেন,পুরো মেডিকেল কলেজের সকল বর্ষের শিক্ষার্থীরা,শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ,ইন্টার্ন ডাক্তার এবং ডাক্তার। এত সহযোগীতায় ছোট উদ্যোগটি ধারণ করে বিশাল আকার।সকলের আন্তরিকতায় সর্বমোট প্রায় পৌনে এক লাখ টাকা(৮১৫১৭টাকা) সংগ্রহে সক্ষম হয় “কিছু মুখের হাসি” টিম।
টাকা সংগ্রহের পর প্রথমে সার্ভের মাধ্যমে স্থান নির্বাচন, সকলে মিলে কাপড় কেনার দায়িত্ব ভাগ করে নিয়ে,সাধ্যমত ভালো কাপড়টাই কেনার চেষ্টা করা আর এরপর কখনো রাতে কিংবা কখনো দুপুরে তারা বের হয় সত্যিকারের সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর খোঁজে,লক্ষ্য একটাই চাহিদাসম্পন্ন মানুষগুলোর চোখে খুশীর ঝিলিক। প্রথম দিন,গভীর রাতে এম্বুলেন্সে করে আগ্রাবাদ, বড়পোল, অলংকার,খুলশি, জিইসি, দুই নং গেট, বহদ্দারহাট, চকবাজার, জামালখান, আন্দরকিল্লাহ, কোতোয়ালী, নিউমার্কেট হয়ে স্টেশন রোডের পথের পাশে শুয়ে থাকা মানুষগুলোকে দেওয়া হয় ঈদের খুশীর ভাগ।২য় দিন চকবাজার,খুলশী এবং আগ্রাবাদের কিছু এলাকায় কাপড় বিতরণ করা হয়।এখনো পর্যন্ত প্রায় ১২০জন মানুষের মাঝে ঈদবস্ত্র বিতরণ করা হয়।ঈদের আগ পর্যন্ত তাদের এ কাপড় বিতরণ চলবে।
সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর চোখে-মুখে দেখতে পাওয়া কৃতজ্ঞতা ছিলো তাদের জন্যে অনুপ্রেরণা। কিছু মুখের হাসির জন্যে শুরু করা এই পথচলা যাতে থেমে না যায়,তার সর্বাত্নক প্রচেষ্টাই থাকবে “কিছু মুখের হাসি” টিমের।