শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ক্যানসারসহ বেশ কিছু রোগের ক্ষেত্রে রোগীদের বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার প্রবণতা ও নির্ভরতা কমাতে কাজ করছে সরকার। যদিও দেশের বর্তমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত। তবে সরকার এটিকে আরও দক্ষ ও যুগোপযোগী করতে কাজ করছে। অ্যালায়েন্স ফর হেলথ রিফর্মস, বাংলাদেশ ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনমিক্স এবং যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগের সহায়তায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ এবং শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে একটি নাগরিক প্ল্যাটফর্ম গতকাল (১২ ডিসেম্বর) এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে আয়োজিত ‘চিকিৎসাসেবা: বিদেশ মুখাপেক্ষিতা থেকে উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান সরকারের এ কার্যক্রমের কথা বলেন।
অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, “সরকার বিদেশে চিকিৎসাসেবার ওপর নির্ভরতা কমাতে ক্যানসারসহ তিনটি রোগের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। বাকি দুটি রোগের বিষয়ে শিগগির ঘোষণা করা হবে। সরকার বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য কিছু রোগের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেবে এবং বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালকে উন্নত করতে ব্যবস্থা নেবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনমিক্সের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের ওপর একটি গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন। গবেষণায় দীর্ঘ অপেক্ষার সময়, ভুল রোগ নির্ণয়, উচ্চ খরচ এবং চিকিৎসক ও রোগীর বোঝাপড়ার মতো বিষয়গুলো নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “বর্তমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের যা আছে তা নিয়ে কাজ করতে হবে, তবে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলোর জন্য সময় লাগবে।”
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, “বিদেশি চিকিৎসার ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্য সরকারকে বিদেশে চিকিৎসা বন্ধ করতে হবে, যা দেশীয় স্বাস্থ্যসেবাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।”
আলোচনা সভায় আইসিডিডিআরবি’র ডা. আহমেদ এহসান মেডিকেল ট্যুরিজমের ব্যয় তুলে ধরে বলেন, বিদেশে চিকিৎসার ওপর নির্ভরতা কমাতে কঠিন নীতি প্রণয়ন করা উচিত। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আবু জামিল ফয়সাল।
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদক।