১০ই এপ্রিল, ২০২০
করোনা আতংকে সারা পৃথিবী যেখানে ঘরবন্দি,সেখানে একদল সৈনিক সেই ভয়কে জয় করে,সেই যুদ্ধকে জয় করার লক্ষে, লড়াই করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এই যুদ্ধের একজন সৈনিক ডা. আয়শা সিদ্দিকা। পুরো নাম ডা. আয়শা সিদ্দিকা আশা। কাজ করেন আউটডোর মেডিকেল অফিসার হিসেবে, নাটোর সদর হাসপাতালে। গাইনি বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেন তিনি। বর্তমানে দেশের করুন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নিয়মিত সেবা দিচ্ছেন করোনা কেয়ারের রোগীদের।
দুই সন্তানের জননী তিনি।বড় সন্তানের বয়স ৩ বছর ছোট সন্তানের মাত্র ১১ মাস।
অসুস্থ দুধের সন্তানকে বাসায় রেখে রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হাসপাতালে ছুটে যান ডা.আয়শা
নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একজন ইয়াসিনপুর কলেজের অধ্যক্ষ সাজেদুর রহমান। তিনি বলেন, বর্তমান এই সময়ে ভয়ে অনেকেই পিছুপা হয়ে যায়। কিন্তু ডাক্তার আশা অসুস্থ দুই সন্তানকে বাসায় রেখে করোনা ইউনিটে আসা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি তার এই মমত্ববোধ সত্যিই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে তিনি মনে করেন।
দুই সন্তান এবং পরিবারের জন্য দোয়া চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
ডা. আয়শা সিদ্দিকা আশা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে সকলের মঙ্গল কামনা করে অসুস্থ দুই সন্তানের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। চলমান এই পরিস্থিতিতে কোন ভাবে কর্তব্যের অবহেলা করার সুযোগ নেই। তিনি নিজে যতক্ষণ সুস্থ থাকবেন করোনা ইউনিটের রোগীদের সেবা অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান বলেন, চিকিৎসকদের যতটা সম্ভব নিরাপত্তার মধ্যে থেকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। নাটোরে করোনা উপসর্গ বেশ কিছু রোগী পেয়েছি। সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশনেও রেখেও রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত নাটোর জেলায় ১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে, আশার কথা এই যে,এদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি।
নিজস্ব প্রতিবেদক/ সিলভিয়া মীম