গত ১৩ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্বশুরের ধানমণ্ডির বাসভবনে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ডা. শামারুখ মাহজাবিনকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ওই রাতেই শামারুখের বাবা নূরুল ইসলাম ধানমণ্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য (যশোর-৫) খান টিপু সুলতান, তার স্ত্রী ডা. জেসমিন ও ছেলে হুমায়ূন সুলতান সাদাবকে আসামি করা হয়।
২৩ নভেম্বর ধানমন্ডি থানায় পাঠানো ময়নাতদন্ত প্রত্যাখ্যান করেন ডাঃ সুমীর পিতা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম। এরপর মেয়ের লাশ উত্তোলন করে পুনঃময়ন তদন্তের জন্য ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আবেদন করেন। শনিবার মামলার তদন্তভার সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৪ নভেম্বর আদালত যশোর জেলা প্রশাসককে আগামি ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে লাশ উত্তোলন করে পুনঃময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমাদানের নির্দেশ দেন।
বুধবার ডা. শামারুখ মাহজাবিন সুমীর লাশ কবর থেকে তোলার কথা ছিল। তদন্ত কর্মকর্তা না আসায় লাশ উত্তোলন আর একদিন পেছানো হয়েছে বলে যশোরের সিভিল সার্জন ডাঃ আতিকুর রহমান খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলাবার বিকাল সাড়ে চারটায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা না আসার বিষয়টি আমাদের জানানো হয়েছে। রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলার নথি হস্তান্তরে গড়িমসি করায় তিনি মঙ্গলবার যশোরে আসাতে পারেননি। তবে তিনি বুধবার যশোর আসবেন। বৃহস্পতিবার লাশ উত্তোলন করা হতে পারে।
সিভিল সার্জন ডা. আতিকুর রহমান খান বলেন, “লাশ উত্তোলনের দায়িত্ব পুলিশের। তারা আসুক। তারপর কী হয় দেখা যাবে।”
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী লাশ উত্তোলন ও ময়না তদন্তের বিষয়ে সিভিল সার্জনসহ তিন সদস্যের কমিটি করার কথা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন বলেন, “দেখা যাক কী হয়। বড্ড ঝামেলায় আছি।”
তবে কী বিষয়ে ঝামেলা তা তিনি পরিষ্কার করেননি।
পাহাড়ায় পুলিশঃ
এদিকে যশোরের কারবালা কবরস্থান পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এবং পীর নূর বোরহান শাহ হাফিজিয়া মাদরাসার সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি আবেদন করেন, যাতে আলামত নষ্ট করার জন্য আসামিপক্ষের লোকেরা শামারুখের লাশ গায়েব করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়। তিনি লাশের সুরক্ষারও আবেদন জানান।
নূরুল ইসলাম আরও জানান, যশোরের পুলিশ সুপার ও কোতোয়ালি থানার ওসির কাছেও তিনি একই আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন। কারবালা কবরস্থানে পুলিশ দেওয়া হয়েছে।