“সব কিছুতেই টাকা অথচ এটি একটি সরকারি ম্যাডিক্যাল কলেজ, মনে হচ্ছে এখানে তারা ব্যবসা করছে”।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এভাবেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যাচার করে প্রতারণা ঢাকতে চেয়েছিল প্রতারক চক্র। এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পায়ে পচন ধরা এক ব্যক্তির জন্য মানবিক সাহায্যের নামে ইভেন্ট খুলে সাধারণ মানুষের কাছে টাকা পয়সা নেয়ার চেষ্টা করা হয়। চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখেই সে ব্যক্তি হাসপাতাল ত্যাগ করলে প্রতারক চক্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপর রোগীকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ করে এবং শুরু থেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা রোগীকে ভর্তি নিতে রাজি ছিলো না দোষারোপ করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহানুভূতি ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া সেই ব্যক্তির সরাসরি চিকিৎসকের নজরে পড়লে সে চিকিৎসক তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানান। প্রতারক চক্রের আসল রূপ তখন বেড়িয়ে আসে। সংশ্লিষ্ট ইভেন্ট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে দোষারোপ করে লেখাটি মুছে ফেলা বা সড়িয়ে ফেলা হয়। শুধু সরিয়ে ফেলা বা মুছে ফেলাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি ভালো মানুষের মুখোশধারী প্রতারক চক্র। সংঘবদ্ধভাবে গণহারে রিপোর্ট করে চিকিৎসকের প্রতিক্রিয়াটি ফেসবুক থেকে মুছে দেয়। যে রোগীকে নিয়ে এসব চলছিল সে রোগীকে পূর্বের মতোই রাস্তায় অবস্থান করতে দেখে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক পুনরায় এ ব্যাপারটি সাধারণ মানুষের নজরে আনার চেষ্টা করেন। চিকিৎসক সমাজের পাশাপাশি প্রতারক চক্রের উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের কাছে প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় প্রতারক চক্র আবারো রিপোর্ট করে সে চিকিৎসকের লেখাটি মুছে দেয়।
এই একটা ঘটনা থেকে অনেকগুলো বিষয় সামনে চলে আসে। বাংলাদেশেরই এক শ্রেণীর মানুষ বাংলাদেশের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এবং চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই প্রতারকরা হয়ত বাজারে প্রচলিত চিকিৎসক এবং ডাক্তারদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে খারাপ ধারণার সুযোগে খুচরো লাখ টাকা কামাচ্ছে, কিন্তু বড় বড় পেইড দালালেরা বাংলাদেশের হাসপাতালে চিকিৎসা হয় না, বাংলাদেশের ডাক্তাররা কসাই প্রচার করে(সেটা গণমাধ্যম থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিরা) কোটি কোটি ডলার, রূপী, বাথ, ইয়েন হাতিয়ে নিচ্ছে।
রোগীর চাপে হোক, চিকিৎসা পেশার পেশাগত হতাশা থেকে হোক, হাসপাতালে দালাল টাউট বাটপারের কারণে হোক, সিস্টেমের দোষে হোক অথবা দক্ষতার অভাবে (এই কারণটা খুব কম হবে) হোক বাংলাদেশে কোন রোগীই হাসপাতাল থেকে হাসিমুখে বাড়ি ফেরে না, সুস্থ হয়ত হয় কিন্তু খুব বাজে অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ি ফিরে। এই বাজে অভিজ্ঞতা, জনগণে ক্ষোভটাকে কাজে লাগিয়ে কখনো বন্দনা কবির কখনো আরো কোন নাম না জানা সেলিব্রেটি আরো বড় সেলিব্রেটি হয়, মন্ত্রীরা আরো প্রজাদরদী হয়, কেরাণীরা আরো একনিষ্ঠ অনুগত কেরাণী হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেই চিকিৎসক যার স্ট্যাটাস বার বার খেয়ে দিচ্ছে প্রতারকের দল তাঁর সেই লেখা তথ্যগুলো বাঁচিয়ে রাখতে ওয়েব সাইটে সংরক্ষণের জন্য সামারি লিখলাম। এবার যদি খেয়ে দেয় দিক…
পূর্ব পুরুষেরা এবং যাঁদের ছাতা কিংবা বট গাছ হওয়ার কথা তাঁরা মীর জাফর হলে প্রফেসর থেকে ইউনিয়নে পড়ে থাকা চিকিৎসকেরা আজীবন মার খাবে, অপমানিত হবে…
দা তানভীর শুভ এর স্ট্যাটাস- যে সব কারনে ফেসবুকে রিপোর্ট করা হয় সে সব কারনের একটিও (হেইট স্পিচ, নুডিটি, ভায়োলেন্স) আমার পুর্বের স্ট্যাটাসে (@ahmed shahrear parag নামক লন্ডনি মানবতাবাদির মিথ্যাচার নিয়ে)ছিলো না।একমাত্র স্বার্থে আঘাত লেগেছে বলেই উক্ত ব্যাক্তি ও তার সাগরেদগন রিপোর্ট করে ফেসবুক থেকে স্ট্যাটাসটি সরিয়ে দিয়েছে। প্রায় সড়ে তিন হাজার মানুষ আমার স্ট্যাটাসটি শেয়ার করেছিলো।সাধারন জনগন , ডাক্তার, মেডিকেল স্টুডেন্টরা কমেন্টে গিয়ে মানবধান্দাবাদি ahmed shahrear parag কে তুলোধুনো করেছে।বেরিয়ে পড়েছে পরাগ মিয়ার থলের বিড়াল। পেইজ থেকে সাহায্যের নামে ইভেন্ট খুলে টাকা হাতানো ব্যাবসা যখন এক স্ট্যাটাসে বন্ধ হবার যোগাড় তখন হারানো ধান্দাবাজি ফিরিয়ে আনার লক্ষে সে অন্ধ আক্রোশে রিপোর্ট করেছে আমার স্ট্যাটাসে।শুধু তাই না যারা তাকে কমেন্টে তুলোধুনো করেছে সম্মান বাচাতে তাদেরো ব্লক দিয়েছে। বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর চিকিৎসা নিয়ে এই ব্যাক্তি ও তার সাগরেদগন সহানুভুতি আদায়ের নামে একটি অলিক গল্প ফেদেছিলো।এই প্রতিষ্ঠানের একজন ডাক্তার এবং সর্বপরি ঐ পায়ে পচা রোগীর চিকিৎসায় প্রথম থেকে স্ব শরীরে উপস্থিত থাকার দারুন উপযুক্ত প্রমানসহ পরাগ আর তার মানবতার সৈনিকদের মিথ্যাচার তুলে ধরি। আমরা চিকিৎসকেরা নিজের শরীরের রক্ত দিয়েও রোগীকে বাচাই , এরকম লাখ লাখ উদাহরন আছে মেডিকেলে। সন্ধানি, মেডিসিন ক্লাবে সংগ্রহকৃত রক্তের অর্ধেকই মেডিকেল স্টুডেন্ট আর ডাক্তারদের।আর লন্ডনে বসে এই মানব ধান্দাবাদি পরাগ আমাদের পেশা এবং মানবসেবাকে ব্যাবসা বলে অপমানিত করে।
আমার পুর্বের স্ট্যাটাস _
সোমবারের টানা ২৪ ঘন্টা ডিউটি শেষে মঙ্গলবার বিকেলে ফেসবুক গুতাতে গুতাতে আচমকা একটা পোস্ট দেখে চোখ আটকে গেলো।একবার না দশ বার পড়লাম।ছবিগুলো দেখলাম।নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছিল না, এরকম নির্লজ্জ মিথ্য্যাচার মানুষ কিভাবে করতে পারে আর তাতে আবার হাজার হাজার লাইক আর হেট কমেন্ট।@ahmed shahrear porag (এই নামের পেইজ আমি এই প্রথম ফেসবুকে দেখলাম)নামে একটি পেইজ থেকে এই পোস্টটি শেয়ার করা হয়েছে।পোস্টের লিংক (https://www.facebook.com/Ahmedshahrearpo…/…/1185264468214630 )লন্ডনে বসে মানবতার সেবা করা এবং ফেসবুকে তা ঢোল পিটিয়ে প্রচার করা বিশিষ্ট এই সেবক মিস্টার পরাগ ও তার ঢাকায় থাকা মানবতা টিম নীলক্ষেতে পায়ে পচন নিয়ে পড়ে থাকা এক লোককে উঠিয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে নিয়ে আসেন।সেই ঘটনা প্রবাহ নিয়ে তিনি যে লেখা শেয়ার করেছেন তা দেখে আপামর ফেসবুক জনতা এবং তার ৮ লক্ষ লাইকার আহারে আহারে করে নাকের জল চোখের পানিতে ফেসবুক ভাসাচ্ছে সাথে ডাক্তারদের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধারমূলক কর্মকান্ড প্রাধান্য পাচ্ছে।নামধারী মানবতার সেবক লন্ডন প্রবাসি মিস্টার পরাগ এবং তার দেশে থাকা ফেসবুকিয়ো লোক দেখানো মানবতাবাদিদের ভাগ্য খারাপ মিথ্যা আর বানোয়াট কাহিনী মিশিয়ে নিজেদের হিরো বানানো সেই লেখাটি ভাগ্যক্রমে আমার চোখে পড়ে গেছে। পায়ে পচন ধরা রোগীটির চিকিৎসার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব আমার সামনেই ঘটে।কারন রোগীকে আনা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী ইউনিট-৩ এ, আর আমি এই ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার। চলুন শুনে আসা যাক প্রকৃত ঘটনা। রাত তখন বাজে ১০টা। ৩/৪ যুবক ট্রলিতে করে এক রোগী নিয়ে আসে।ইমারজেন্সি টিকেট হাতে নিয়ে দ্বায়িত্বরত ডাক্তার রোগী দেখতে যান।রোগীর অবস্থা দেখে আমিও তার পিছ পিছ রোগী দেখতে যাই। মধ্যবয়সি এই রোগীর পায়ের মধ্যভাগে বিশাল বড় সাইজের একটি আলসার।যার পুরোটাই ইনফেকটেড এবং ইতিমধ্যে ম্যাগোট(পোকা)হয়ে গন্ধ ছড়াচ্ছে।রোগীর হিস্ট্রি আর ক্লিনিকাল এক্সামিনেশান করে বুঝলাম এই লোক ড্রাগ এবিউজার(মাদকসেবি)। এরা দীর্ঘদিন যাবত শরীরের বিভিন্ন শীরাপথে ইন্ট্রাভেনাস ড্রাগ(মাদক) নিতে নিতে একসময় শীরাগুলো শুকিয়ে যায়, সেই ক্ষত থেকে ইনফেকশান হয়ে তা ছড়িয়ে যায়।যে তিন যুবক এই লোক কে এনেছে আমি তাদের মধ্যে একজনকে( ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ছাত্র)চেয়ারে বসিয়ে রোগী সম্পর্কে ডিটেইলস কাউন্সিল করলাম।আমার কাউন্সিলিং উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরলাম- ” অপরিচিত এই লোককে আপনারা হাসপাতালে এনেছেন খুব ভালো এবং মহৎ কাজ করেছেন।ইনার পায়ে খুব খারাপ ইনফেকশান হয়েছে যা দ্রুত উপরের পায়ে ছড়িয়ে পড়েছে।আমাদের ধারনা এই রোগী মাদকসেবি।আমাদের নেক্সট প্ল্যান ইনার পায়ের পচা অংশ ফেলে দিয়ে পা কে ম্যাগোট মুক্ত করা।আজ রাতেই অপারেশান করা যাবে।তবে যেহেতু আমরা সন্দেহ করছি ইনি মাদকসেবি তাই রক্তের কিছু স্ক্রিনিং টেস্ট করতে হবে অপারেশানের পুর্বে।যার ভিতর হেপাটাইটিস এবং এইডস উল্লেখযোগ্য।আর আপনাদের একজনকে অবশ্যই রোগীর সাথে থাকতে হবে।যেহেতু এই রোগীর আত্মীস্বজন কেউ নাই তাই একে সময়মত বাথরুমে নেয়া,ড্রেসিং এর জন্যে ওটিতে নেয়া, খাবার খাওয়ানো , পরীক্ষার রিপোর্ট আনতে যাওয়া এইগুলো একজন সাথে না থাকলে করা স্বম্ভব না। আপনাদের একজনের মোবাইল নাম্বার দিয়ে যাবেন যাতে আমরা যোগাযোগ রাখতে পারি।” কথাগুলো বলে আমি রোগিকে ভর্তি করানোর জন্যে আমার এক জুনিয়র ডাক্তারকে নির্দেশ দিয়ে ওটিতে চলে গেলাম। পরবর্তি ঘটনাপ্রবাহ- ওয়ার্ডে থাকা ডাক্তারেরা রক্তের স্ক্রিনিং পরীক্ষাগুলো লিখে দিলেন এবং হাসপাতালের রক্ত সঞ্চালন বিভাগে গিয়ে রিপোর্ট করানোর নির্দেশনা দিলেন।সরকারী হাসপাতালে প্রায় ৯০% ওষুধ সাপ্লাই থাকে। যেগুলো থাকে না কিন্তু রোগীর দরকার সেগুলোই বাইরে থেকে কিনতে দেয়া হয়। এই রোগীর স্যালাইন থেকে শুরু করে ,এন্টিবায়োটিক , ব্যাথার ঔষুধ সহ অনান্য সব ঔষুধ আমরা সাপ্লাই থেকেই দিলাম(২য় ছবিতে )।তবে অপারেশানের জন্যে কিছু জিনিস বাইরে থেকে কিনতে দেয়া হল। ম্যাগোট মারার জন্যে তারপিন তেল , হাইড্রোজেন পার অক্সাইড,আর একটা মাইক্রোপোর(টেপ)। এর মধ্যে তারপিন তেল আর পার অক্সাইড এর দাম সর্বসাকুল্য ১০০ টাকার কম। তবে ৩০০ টাকা দামের মাইক্রপোর কেনার কারনে মানবতার সেবক পরাগ সাহেব ও তার দল যে পরিমান হা হুতাশা করলেন তা দেখে মনে হল আসলে এ সবি মাছের মায়ের পুত্র শোক।।যা হোক ,১২ টা বাজে ভার্সিটি পড়ূয়া ৪ সৈনিক জানালেন স্ক্রিনিং পরীক্ষা এখন করাতে পারবেন না , বেশি রাত হলে তাদের নাকি হোস্টেল বন্ধ হয়ে যাবে। আহারে পরাগ সাহেবের এই মানবতার সৈনিকেরা বেশ সফস্টিকেটেড।হোস্টেলের নরম বিছানা তারা মানবতার খাতিরে এক রাতের জন্যে ত্যাগ করে পচন ধরা গন্ধযুক্ত রোগীর পাশে কাটাতে পারবে না।এরমধ্যে পাশের বেডের অনান্য রোগী হৈ হট্টগোল শুরু করে দিয়েছে। এই গন্ধওয়ালা রোগীকে তারা ওয়ার্ডে থাকতে দিবে না।অনান্য রোগীর লোক যখন ঝামেলা করছিলো তখন মানবতা টিমের সদস্যারা ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে ছিলো।ওয়ার্ডে থাকা আমার সব ডাক্তার তখন তাদের অন্য সব কাজ ফেলে অন্য রোগীদের আত্মীয় স্বজনের সাথে রিতিমত যুদ্ধ করে এই রোগীকে বেডে থাকার ব্যাবস্থা করে দেয়।রোগীকে বিছানায় শুইয়ে দিয়েই ভার্সিটি পড়ুয়া ননির পুতুল মানবতার সৈনিক ভাইয়েরা ফুটুশ করে হাওয়া ।হন্য হয়ে খুজেও তাদের টিকির সন্ধান পাওয়া গেলো না। রোগীর রক্তের রিপোর্টটাও করা হয় নাই, তাদের যোগাযোগের ফোন নাম্বারো তারা দিয়ে যায় নাই। অনেক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা ডাক্তারের এই ধরনের ঘটনাপ্রবাহের গতিবিধি কি হবে তা আগেই আচ করতে পারি। হিরোগীরি দেখিয়ে একদল লোক অসহায় কাউকে রাস্তা থেকে তুলে আনবে , তারপর ফেসবুকে এর ছবি আপ্লোড করেই হাওয়া হয়ে যাবে।অসহায় সেই রোগীর দায়িত্বভার এই আমরা ডাক্তারেরাই কাধে তুলে নেই। এই রোগীগুলোর কাছ থেকে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ আমাদের কাছে ছড়ানোর সমুহ স্বম্ভবনা থাকার পরেও তীব্র গন্ধের ভিতর যত্ন সহকারে অপরেশান করি, ড্রেসিং করি। রক্তের প্রয়োজনে নিজেদের পকেট থেকে ,পুয়োর ফান্ড থেকে কত যে হাজার হাজার টাকা বের হয়েছে তাই বলে ৩০০ টাকার মাইক্রোপোর কেনার কষ্টে বুক ভাসাই নাই। যা হোক , আসল কাহিনীতে ফিরে আসি ।রাতে ওটি থেকে খবর পাই রোগী ফেলে সবাই পালিয়েছে, পরীক্ষা নীরিক্ষাও কিছুই করে নাই। প্ল্যান করলাম সকালে স্যার আসলে পরীক্ষাগুলো ফ্রী করিয়ে নিয়ে ওটি করবো।পরেরদিন সকালে রাউন্ডের সময় দেখি রোগীর বিছানা খালি।বেড ডক্টর জানে না রোগী কোথায় গেছে। আশে পাশের অনান্য রোগীর লোককে জিজ্ঞেস করায় তারা বললো ঐ লোক সকাল ৭ টায় খুড়িয়ে খুড়িয়ে ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে গেছে।সাথে কেউ ছিলো না। ফাইলের খোজ করলাম সিস্টারের কাছে।সিস্টার বললো সকালে ইঞ্জেকশান দিতে গিয়ে দেখে রোগী বিছানায় নাই, ফাইল পড়ে আছে, তাই তিনি ফাইল নিয়ে রেখে দিয়েছেন। আমার ফ্রেন্ড লিস্টের প্রায় ২০০ মানুষ Ahmed Shahrear Porag নামক এই পেইজের লাইকার।সবাইকে না আমি শুধু ডাক্তারদের অনুরোধ করবো আমার এই লেখাটি শেয়ার করে এই মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানাতে। দিনের পর দিন দেশের হাজার হাজার ডাক্তার প্রতিকুল পরিবেশে, সিমীত জনশক্তি নিয়ে মানব সেবা করে আসছি।তার বদলে আমারা এক্সট্রা কিছুই চাই না।কারন আমরা জানি এটাই আমাদের কাজ।কত হাজার হাজার মানুষের উপকার করছি, সেটা শুধু উপরওয়ালার কাছেই গচ্ছিতো পুন্যের খাতাতেই লেখা থাক। ফেসবুকে লাইকের খাতা সমৃদ্ধ করার ইচ্ছে থাকলে প্রতিটা ডাক্তারই এক এক জন ফেসবুক সেলিব্রেটি হয়ে যেতো ।
ডাঃ মোহিব নীরব,
উন্নয়নকর্মী।
তথ্য প্রমাণ তো আছেই! এই তথাকথিত নব্য সুশীলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা যায় না?