থ্যালাসেমিয়া রক্তের একটি রোগ। রক্ত উৎপাদন জনিত অসামঞ্জস্যতা এর জন্য এই রোগ এর সৃষ্টি। এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রতি মাসে একজন রোগীর ১-২ ব্যাগ থেকে ৪-৫ ব্যাগ (৪৫০মিলি/ব্যাগ) রক্তের প্রয়োজন হতে পারে।
নিয়মিত শরীরে রক্ত গ্রহনের কারনে রক্তকোষ এর ভাঙনের ফলে প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত আয়রন উৎপন্ন হয় যা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীর শরীরে নানাবিধ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এমনকি অনেক দিন এভাবে চলতে থাকলে একসময় শরীরের প্রধান অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে; ফলে মৃত্যু হয় হাজারো প্রাণ এর।
আসুন প্রেক্ষাপট টা তলিয়ে দেখি। বর্তমানে বাংলাদেশে জীবিত থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা ৬০-৬৫ হাজার। যাদের জন্য প্রতিবছর ৪২-৪৪ হাজার ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। প্রতিবছরে নতুন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও যোগ হয় ২৪/২৫ শত। যাদের অধিকাংশ রোগীরই সচেতনতার অভাব। এই অজ্ঞতা অথবা আর্থিক সংকট এর কারনে মাত্র ৩০বছর জীবনকালের মধ্যেই মৃত্যুকে আপন করে নিতে হয় আমাদের মতো দেশের রোগীদের; যেখানে উন্নতদেশ গুলোতে একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীকে ৫৫-৬০ বছর পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। আরো একটু ইচ্ছা,চেষ্টা আর সহযোগীতা পেলেই হয়তো আরো কয়েকটা হাসি বাঁচিয়ে রাখতে পারবো আমরাও! আসুন কয়েকটা বিষয় নিশ্চিত করে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি কি না দেখি –
খাবার :থ্যালাসেমিয়া রোগে শরীরে রক্তের ভাঙনের ফলে রক্তের একটি উপাদান আয়রন বেড়ে যায়।তাই সেই আয়রন কমাতে এবং শরীরে আয়রন যাতে খাবার দাবার এর মাধ্যমে অতিরিক্ত না বেড়ে যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।ফলে অধিক আয়রন যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং কম আয়রন কিংবা আয়রনহীন খাবার খেতে হবে-
অধিক লৌহ/আয়রনযুক্ত খাবার :(যে খাবার খাওয়া ঠিক না)
মাছ-মাংস জাতীয় : গরু/খাসীর মাংস,কলিজা,ডিমের কুসুম,ইলিশ,কৈ,চিংড়ি,শিং,টেংরা, ছোটমাছের শুটকি
শাক সবজি : কচুশাক,লাল শাক, পালংশাক,পুঁইশাক, ফুলকপি,ধনে পাতা,সিম,বরবটি,মটরশুটি,কাকরোল,কাঁচা পেঁপে, সজিনা
ফল : আনারস,বেদানা,খেজুর,তরমুজ
খাদ্য শস্যজাত এবং বিবিধ : খৈ, কর্ন ফ্লেক্স,ছোলা,বাদাম,কিসমিস,তিল,জিরা,ধনে,সরিষা,গুড় ইত্যাদি
কম আয়রন/লৌহযুক্ত খাবার:(যেগুলা খেতে পারবেন)
মাছ মাংস জাতীয় : মুরগীর মাংস,রুই,কাতলা,পাংগাস,বোয়াল,মাগুর, সরপুঁটি, পুঁটি
শাক সবজি : বাঁধাকপি, মিষ্টিকুমড়া,করলা,ঢেড়স,কাঁচা কলা, ঝিংগা,পাকা টমেটো,লাউ,চাল কুমড়া
ফল : পাকা আম,লিচু,পেয়ারা,কলা,পাকা পেঁপে, কমলা লেবু,আপেল,আতা,আমলকি,কাগজী লেবু
খাদ্যশস্যজাত এবং বিবিধ : চাল,ময়দা,পাউরুটি,
মসুর এর ডাউল,মধু,দুগ্ধজাত খাবার (দই,ছানা,পনির,রসগোল্লা) ইত্যাদি.
দৈনিক খাদ্যতালিকা:
*০-১০ বছরের বাচ্চাদের জন্য :
থ্যালাসেমিয়া জন্মগত রোগ হওয়ায় বাচ্চারাই এর “প্রধান ফোকাস গ্রুপ” বাচ্চা বয়সেই সঠিক পরিচর্যা তাই অন্যতম গুরুত্ববহ দিক।
*০-৩ মাস : বুকের দুধের সাথে সাথে প্রয়োজনমত পানি মেশানো গরুর দুধ দেওয়া যেতে পারে।
*৩-৬ মাস : *বুকের দুধের পাশাপাশি গরুর দুধ (পানি ছাড়া)
নরম পাতলা খাবার (অল্প পরিমানে) : সাগু,খিচুড়ি,গলানো আলুর তরকারি,কলা,সিদ্ধ ডিমের সাদা অংশ।
*৬-৯ মাস :
বুকের দুধ এর পাশাপাশি ১/১.৫ লিটার পর্যন্ত গরুর দুধ। সাথে উপরে উল্লেখিত খাবার গুলো আধাকেজি থেকে এককেজি/দিন পর্যন্ত খেতে দেওয়া যেতে পারে
*২-৫ বছর বয়স পর্যন্ত :ল্লেখিত খাবার এর সাথে পাউরুটি, পায়েস,নরম মুরগীর মাংশ,সিদ্ধ কচলানো তরকারী দেওয়া যেতে পারে।
*5-10 বছর বয়স পর্যন্ত :
সকালের নাস্তা: পাউরুটি স্লাইচ,সুজি/চাউলের পায়েস,দুধ,মাখন
সকাল১১টা : আপেল,কলা,আংগুর,পেয়ারা,কমলা জাতীয় ফল
দুপুরের খাবার: ভাত জাতীয় খাবার ৫০গ্রাম,ডাউল ১৫গ্রাম,দই ৭০গ্রাম,তরকারী ৭৫ গ্রাম
বিকেলের নাস্তা : ১ গ্লাস দুধ
সন্ধ্যা ৭টা : বিস্কুট বা এ জাতীয় খাবার
রাতের খাবার : দুপুরের মতোই
ঘুমাবার আগে : ১ গ্লাস দুধ
* কিশোরদের খাবার (৬-১২ বছর)
উপরে উল্লেখিত রুটিনের উপকরণ গুলোই মেনে নেওয়া যেতে পারে তবে প্রতিটি খাবারের পরিমান ২৫-৬০% বৃদ্ধি করতে হবে (বয়সের পর্যালোচনাপ্রেক্ষিতে)
নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ :যেহেতু থ্যালাসেমিয়া রোগ এ শরীরে আয়রন এর পরিমান বেড়ে যায়, আয়রনকে নিষ্ক্রিয় করে শরীর থেকে বের করে দেওয়ার জন্য কিছু আয়রন চিলেটিং এজেন্ট ব্যাবহার করা হয়
(অধিক ব্যবহৃত “ডেসফেরল”)।আর প্রতিরোধ এর ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া যেতে পারে – দেশের প্রতিটি নাগরিককে এই রোগ সম্বন্ধে সচেতন করে তুলতে হবে।
১.যদি পরিবারের কোনো সদস্যের থ্যালাসেমিয়া রোগের ইতিহাস থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।গর্ভধারণ করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
২.থ্যালাসেমিয়া থেকে বাঁচতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো, এ রোগের বাহকদের শনাক্ত করা। এ জন্য স্ক্রিনিং কর্মসূচি গ্রহণ করে বাহকদের চিহ্নিত করে পরামর্শ দিতে হবে।দুজন বাহক যদি একে অন্যকে বিয়ে না করে তাহলে কোনো শিশুরই থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করা সম্ভব নয়।
৩.প্রতিরোধের একমাত্র উপায় বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করা। থ্যালাসেমিয়ার জিন বহনকারী নারী গর্ভধারণ করলে তার সন্তান প্রসবের আগে অথবা গর্ভাবস্থায় ৮ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রি-ন্যাটাল থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় করিয়ে নিতে হবে। এ পরীক্ষার যদি দেখা যায়, অনাগত সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে তবে সন্তানটির মারাত্মক পরিণতির কথা ভেবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সন্তান গ্রহণ থেকে বিরত থাকা যেতে পারে।
গর্ভস্থ সন্তানের থ্যালাসেমিয়া জানার জন্য যে পরীক্ষাগুলো করতে হবে :
– কোরিওনিক ভিলিয়াস স্যাম্পলিং
– অ্যামনিওসেনটিসিস
– ফিটাল ব্লাড স্যাম্পলিং
থ্যালাসেমিয়া নিরাময় : বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন/অস্থিমজ্জা পরিবর্তন এর মাধ্যমে একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করা সম্ভব। আশার কথা হচ্ছে এই অপারেশন আমাদের দেশ ই বর্তমানে সফলতার সাথে সম্পন্ন হচ্ছে। তবে উন্নত দেশ গুলোতে জিন থেরাপি থ্যালাসেমিয়া রোগ নিরাময় ও নিয়ন্ত্রণ এ বিশেষ ভুমিকা রাখছে। উল্লেখ্য এসকল চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
রক্তদান সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনা :সাধারণত আমাদের মাঝে একটা ভ্রান্ত ধারনা বিরাজমান যে একব্যাগ এই রক্ত দিলে আমার না জানি কি হয়ে যায়,হয়তো ২/৩ মাস আমি অসুস্থ থাকবো, দুর্বলতা কাজ করবে,এমন অনেক কিছু।
বিষয়টা যদি আরেকটু সময় নিয়ে খুঁজে দেখি আমরা দেখবো রক্ত দিলে আসলে আমি ২ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৩দিন একটু দুর্বলতা থাকতে পারে কিন্তু রক্ত জনিত এবং হৃৎপিন্ড জনিত রোগ প্রায় ৩০-৫০% পর্যন্ত কমে যায় যেমন- হাইপারটেনশন,হাইপার কোলেস্টেরিমিয়া কমে যায় এবং সাথেসাথে শরীরের রক্ত উৎপাদন ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।প্রকৃতপক্ষে প্রতিব্যাগ ৪০০-৪৫০ মিলি গ্রাম রক্তে আমরা আসলে প্রধানত আমাদের শরীরের ৭৫০-৮৫০ মিলিগ্রাম হিমোগ্লোবিন (রক্তে অক্সিজেন সঞ্চালণ এর প্রধান বাহন) থেকে মাত্র ৫০-৬০ মিলি গ্রাম হিমোগ্লোবিন দান করে থাকি বাকিটার অধিকাংশ ই থাকে পানি বা অন্যান্য সেকেন্ডারি পদার্থ যা ২/৩ গ্লাস পানি খেয়ে নিলেই তাৎক্ষণিকভাবে কোন সমস্যা সৃষ্টি করে না এবং ৩/৪ দিন এর রেগুলার খাবার,একটু রেস্ট এ ই সহজে কোন সমস্যার সম্মুখিন না হয়ে রক্ত দান করা সম্ভব।
সতর্কতা:১. যেহেতু নিয়মিত ব্লাড ট্রান্সফিউশন অর্থাৎ শরীরে রক্ত দেওয়া এর দরকার হয় ( প্রায় ৭০-৭২% থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে) তাই এই ট্রান্সফিউশন এর ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। প্রতিবার রক্ত গ্রহনের আগে অবশ্যই প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষা করে নিতে হবে নাহলে শরীরে নেওয়া ঐ রক্ত ই আপনার মৃত্যুর কারন হতে পারে।অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় একই ডোনার থেকে একের অধিকবার রক্ত নেওয়ার সময় অনেকেই প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষা কে হেয় করে দেখেন অর্থাৎ “আগেও তো রক্ত নিয়েছি কিছুই হয় নি এখন আবার কি হবে” – এরকম ভেবে থাকেন। মনে রাখতে হবে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে যেকোন মানুষ এর শরীরে বা রক্তে নতুন এন্টিজেন বা এন্টিবডি র আবির্ভাব হতে পারে যেটা ঐ মানুষ এর সুস্থতায় কোন প্রভাব না ফেললে ও তার রক্ত আপনার শরীরে নেওয়া হলে রক্ত কণিকার গায়ে লেগে থাকা ক্ষুদ্রতর কণিকা গুলো ও আপনার জীবন কে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। মনে রাখতে হবে সাধারণ মানুষ দের থেকে আপনার শরীরে অল্প কিছু হলেও আপেক্ষিকভাবে বৃহত্তর ক্ষতি র কারণ হতে পারে! হ্যাঁ সেটা অনেক ক্ষেত্রে হয়তো সাথে সাথেই চোখে পড়বে না, তবে পরিণতিতে আপনার জন্য কি অপেক্ষা করছে সেটা হয়তো আপনি ভাবতেও পারেন নি।
২. রক্ত নিজের শরীরে নেওয়ার সময় সকল টেস্ট করার পরেও কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। ব্লাড ট্রান্সফিউশন বা রক্ত নেওয়া শুরু করার প্রথম কিছুক্ষণ এ লক্ষ রাখতে হবে শরীরে কোন পরিবর্তন অনুভূত হচ্ছে কি না যেমন- বুকে ব্যাথা বা চাপ ধরে রাখা,শ্বাস কষ্ট,কাপুনি বা এরকম কোন অসুবিধা মনে হলেই রক্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সেবিকা বা ডাক্তার কে জানান।
৩. রক্ত নেওয়ার কিছুক্ষণ পর বা রক্ত নেওয়ার সময়েই চুল্কানো সহ বিভিন্ন ধরনের এলার্জির প্রকট দেখা যেতে পারে শরীরে।এমন হলে প্রাথমিক ভাবে এলার্জি র ঔষধ খেতে পারেন তবে জটিলতর হলে অবশ্যই ডাক্তার এর পরামর্শ নিন।
রক্তের যোগান:নিয়মিতভাবে যথেষ্ট পরিমান রক্তের প্রয়োজন হওয়ায় রক্তের যোগান অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। বাংলাদেশ এ থ্যালাসেমিয়ার জন্য প্রতিবছর যে ৪২-৪৪ হাজার রক্তের প্রয়োজন হয় তার প্রায় ১৫-১৬% রক্ত ই আসে মেডিসিন ক্লাব,সন্ধানী,বাঁধন,রোটারি ক্লাব সহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন এর মাধ্যমে। তাই বলবো এসকল সংগঠনে আজ ই আপনার বা আপনার নিকট আত্মীয় থ্যালাসেমিয়া রোগী টির নামটি অন্তর্ভূক্ত করুন। তাঁরা অবশ্যই তাদের নিয়মানুসারে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করবে। আমার মতে পারলে একের অধিক সংগঠনে যুক্ত থাকুন- আপনার প্রয়োজনের মূহুর্তে রক্তটা একটা সংগঠনে না পেলে অন্য সংগঠনে ইনশাআল্লাহ পাবেন।
আর সর্বোপরি নিকটজনদের থেকে কয়েকজন রক্তদাতা কে সব সময় বলে রাখতে পারেন যাতে প্রয়োজনে আপনি তাদের দ্বারস্থ হতে পারেন।
পরিশেষে কিছু কথা মনে করিয়ে দিতে চাই –
worldmitter.info এর মতে আমাদের দেশ এর জনসংখ্যা ১৬.৩ কোটি,আমি যখন এই কলামটা লিখছি অর্থাৎ ২০১৮ সালের জুলাই মাস এ।এই ১৬.৩ কোটি মানুষ এর মধ্যে প্রায় ৫৮-৬২% মানুষ অর্থাৎ প্রায় ৯ কোটি মানুষ ৪ মাস পর পর নির্দি্বধায় ১ ব্যাগ (৩৫০-৪৫০মিলি) রক্ত দিতে পারেন। দরকার একটুখানি ইচ্ছার, ব্লাড ব্যাগ এর নিডেল প্রিকের ব্যথার মতো পিঁপড়া/মশা কামড়ানোর মত সামান্য ব্যাথাকে হার মানানোর সাহসের,দরকার অন্যের মুখে হাসি টা বাঁচিয়ে রাখার জন্য একটুখানি চেষ্টার। ভেবে দেখুন তো প্রতি ৪ মাস পর পর যে রক্ত কণিকা টা এমনিতেই আমাদের শরীর থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে বেরিয়ে যাবে এমন আপনার বা আমার কয়েকটা রক্ত কণিকায় ভর করে যদি বেঁচে যায় আরো একটা জীবন, কিছু স্বপ্ন, কারো বাবা,মা কিংবা ছোট্ট ঐ বাবুটা যে হয়তো একদিন দেশ এর পরবর্তী একজন সেনানায়ক,বিজ্ঞানী,ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার কিংবা সমাজ সংস্কারক হওয়ার স্বপ্ন দেখে। সে ও আমাদের একজন – তার জন্যে ও অনেক চোখের কোণে জল জমে,নিরুপায় হয়ে ঝরে পড়ে প্রতিনিয়ত। আজ হয়তো সে, কাল তো আমার বা আমার কোন কাছের মানুষ- বাবা,মা, সন্তান, ছোট্ট ভাই কিংবা আদরের ছোট বোন টা ও এই পরিস্থিতির স্বীকার হতে পারে! ভেবে দেখবার অনুরোধ টা সবার কাছেই ; একটা স্বপ্নকলি ও যাতে ঝরে না পড়ে- দায়িত্বটা আমাদের সকলের ই।
তথ্যসূত্র :
– International Thalassemia Guideline (2nd edition)
– Various Medical Journals.
– www.ncbi.nlm.nih.gov
– worldomitters.info
– wiki
– Medias of Thalassemia samity & thalassemia foundation.
-And some other publications and medias.
লেখক :
এস.এম.রাকিব
৫ম বর্ষ ,
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ।