প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৯ অগাস্ট, ২০২০, বুধবার
বান্দরবান জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা. মোরশেদ আলীর উদ্যোগে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। গত ১৭ অগাস্ট (সোমবার) একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
একজন চিকিৎসক পাল্টে দিচ্ছেন উপজেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সামাজিক উদ্যোগে স্থাপন করেছেন সাতকানিয়া ও কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন। সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনের তৃতীয় প্রকল্প হিসেবে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ শুরু হয়েছে। এই অনাড়ম্বর উদ্বোধন অনুষ্ঠান, যেখানে ছিল না অসংখ্য মিডিয়ার উপস্থিতি, প্রেস ব্রিফিং, দূরত্ব বজায় রেখে সদর হাসপাতালে বেডের পাশে উপস্তিত ছিলেন চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ জেড এম সলিম।
এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন,
“নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় প্রথম কোভিড রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন প্রয়োজনীয় ছিল, কিন্তু সরকারি ফান্ডের অভাবে দিতে পারি নি। এই সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ডা. মোরশেদ আলী, এটি ভবিষ্যতে আমাদের সবার প্রয়োজন হবে।”
উদপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ জেড এম সলিম অনুষ্ঠানে বলেন,
“সেন্ট্রাল অক্সিজেন শুধু মেডিকেল কলেজেই থাকে, সেখানে সম্ভব। এই প্রত্যন্ত এলাকায় আমরা সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন পাচ্ছি তা ডা মোরশেদ আলীর অবদান। এই সেন্ট্রাল অক্সিজেন আমাদের ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ সহ যেকোন জটিল রোগে চিকিৎসা করার জন্য কাজে দিবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর উদ্দেশ্যে ডা. মোরশেদ আলী বলেন,
“এই প্রান্তিক এলাকায় দূর্গম জনপদের মানুষজনের অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে পারবে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন। শুধু করোনার সময় নয়, যেকোন সঙ্কটাপন্ন রোগীর শেষ পর্যায়ে প্রয়োজন অক্সিজেন। চিকিৎসক হিসেবে সে সময় রোগীকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা অক্সিজেনের মাধ্যমে দিতে পারি, এই প্রান্তিক জনপদে।”
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই সামাজিক উদ্যোগে সহযোগিতা করা সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন,
“অনেক নগর মহানগরের হাসপাতালে এই সেন্ট্রাল অক্সিজেনের সুবিধা না থাকলেও, শুধুমাত্র আপনাদের সহযোগিতায়, আপনাদের অনুদানের কারণে এই দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও এই সুবিধাটি এসেছে, তার কৃতিত্বের দাবিদার কিন্তু আপনারাই। আপনারা আমাকে অনুদান দিয়েছেন বলে সেই অনুদানের টাকায় এটা নিশ্চিত করতে পারছি।”
ভবিষ্যতে কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতেও এই কাজ অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ডা. মোরশেদ আলী।
অনুষ্টানটির সম্প্রচার লিংকঃ
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=3293158894084079&id=100001700018119