সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মচারীদের মারামারির পর থেকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (পঙ্গু হাসপাতাল) জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। বেলা সাড়ে ১১টায় মামারির পর থেকে হাসপাতালের জরুরি বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা মানুষজন।

পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালের প্রধান ফটকে পুলিশ আর ভেতরে অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী।
জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত গতকাল রাতে।হা সপাতালটির এক কর্মী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর মধ্যে রোববার রাতে ব্লাড ব্যাংকের কর্মী রফিককে মারধরের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মীরা। এর মধ্যে তাদের ওপর ‘হামলা’ হয় বলে দাবি করেন ওই কর্মী। নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি গণমাধ্যমে নাম প্রকাশ করতে চাননি।
তবে অভ্যুত্থানে আহতদের একজন মামুন বলেন, তিনি ৫ অগাস্ট আশুলিয়া থানার সামনে আহত হন। এখানেই ভর্তি ছিলেন।“পুরো হাসপাতাল চালায় দালাল সিন্ডিকেট। এর বিরুদ্ধে কথা বলায় সকাল ১০টার দিকে ফিজিওথেরাপি নিতে যাওয়া আমাদের কয়েকজনের ওপর হামলা চালায় হাসপাতালের একদল কর্মচারী ও দালাল।”
সংঘাতের পর কর্মচারীরা হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ায় জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টারগুলো খালি দেখা গেছে। কয়েকজন টিকিট কাটতে পারলেও কোনো চিকিৎসা পাননি বলে জানালেন।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান, নিটোরের সবশেষ অবস্থা জানতে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কেনানের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদক।
প্ল্যাটফর্ম/এমইউএএস