নিম্নলিখিত দাবিগুলো আদায়ের প্রেক্ষিতেটানা তৃতীয়দিনের মতো পাবনা মেডিকেল কলেজে মিছিল, ধর্মঘট চলছেঃ
১) শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ,
২) আবাসন সংকট সমাধান,
৩) নিজস্ব হাসপাতাল চাই,
৪) নিজস্ব পরিবহণ চাই,
৫) শিক্ষার্থী ও চিকিৎসক’দের জন্য নিরাপত্তা চাই।
প্রতিষ্ঠানটির জন্মলগ্ন থেকেই নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত পাবনা মেডিকেল কলেজ, কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি নির্বিকার সেখানে। যথাযথপদক্ষেপ গ্রহণ না করায় সেখানখার চিকিৎসিক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে-
নিচে সমস্যাগুলো বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-
১) পর্যাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারী নেই সেখানে। প্রতিডিপার্টমেন্টে ১/২ জন করে শিক্ষক আছেন,কিছু ডিপার্টমেন্টে (ফিজিওলজি,প্যাথলজি ও মাইক্রোবায়োলজি) কোন শিক্ষকই নাই। আর ক্লিনিক্যাল বিষয়গুলোতেও কোন শিক্ষক নেই। এগুলোর ক্লাস ও পরীক্ষা নেন সদর হাসপাতাল থেকে আসা ডাক্তাররা। ফলে পর্যাপ্ত ক্লাস ও যথার্থ সুযোগ পাচ্ছেন না ছাত্র-শিক্ষকরা।
এমনিতেই শিক্ষক সংকট তার উপর যারা আছেন, তাঁরাও বিভিন্ন সমস্যাএড়াতে বদলি হয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে শিক্ষার্থীরা পড়ছে চরম বিপাকে।
২) মেডিকেল কলেজের নিজস্ব কোন হোস্টেল নেই। ছাত্র/ছাত্রী হোস্টেল ও ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের জন্য পৃথক পৃথক ভবন দরকার অনেক আগে থেকেই। পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিত্যক্ত রুমগুলো স্টুডেন্টসদের হোস্টেল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে যা মানের দিক দিয়ে খুবই নিম্ন।
৩) ইতোমধ্যে ৬ টা ব্যাচের আগমন ঘটলেও নিজস্ব কোন হাসপাতাল নেই,ওয়ার্ড চলেসদর হাসপাতালে। যা মেডিকেল কলেজ থেকে সাড়ে ৯ কি.মি দূরত্বে অবস্থিত।
৪) কলেজের নিজস্ব কোন বাস না থাকায় কখনো ভাড়া বাসে বা কখনো স্টুডেন্টসদের নিজস্ব খরচে হাসপাতালে যাতায়াত করতে হয়।
৫) সবচেয়ে বড় কথা হলো- হাসপাতালে যাতায়াতের পথে স্টুডেন্টসদের (বিশেষকরে মেয়েদের) নিরাপত্তাজনিত সমস্যা। হোস্টেলে নিরাপত্তাকর্মীদের অনুপস্থিতির কারণে হোস্টেল থেকে প্রায়ইশিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জিনিস চুরি হয়ে যায়।মেডিকেল কলেজ চালুর পর থেকেই কোন নিরাপত্তাকর্মী ওকর্মচারী নিয়োগ না দেয়ায় মানসিক হাতপাতালের নিরাপত্তাকর্মী ও কর্মচারী দিয়েকাজ চালানো হতো। বর্তমানে মানসিক হাসপাতালের নতুন ভারপ্রাপ্তপরিচালক তাদের সরিয়ে নেয়ায় চেয়ার-টেবিল সরানোর মতো কাজও করতে হয়ছাত্র-শিক্ষকদের।
মেয়েদের অস্থায়ী হোস্টেলের সামনে/পাশেই বসে স্থানীয় লোকজন ও নেশাখোরদের নিয়মিত আড্ডা। ফলে মেয়েদের যাতায়াতও অনেকটাই ঝুঁকির সম্মূখীন।
৬) কলেজের কোন নামফলক পর্যন্ত নেই।
৭) কলেজে কোন ক্যান্টিন,মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য কোন উপাসনালয় নেই।
আর হোস্টেলের ডাইনিংয়ের অবস্থাও প্রচন্ড খারাপ। এমনকি পাশের বাথরুম থেকে পানি এনে রান্নার কাজ চালানো হয় যা বেশ অস্বাস্থ্যকর।
৮) কলেজের নেই কোন কমন রুম, নেই কোন খেলাধুলা ও চিত্তবিনোদনেরও ব্যবস্থা। একটি লাইব্রেরি থাকলেও তাতে পর্যাপ্ত বই না থাকায় ও বেশির রভাগ সময় বন্ধ থাকায় স্টুডেন্টসরা কোন সুবিধাই পাচ্ছে না সেখান থেকে।
৯) এতো সমস্যাকে মেনে নিয়েও যে স্টুডেন্টসরা পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে তবুওতারা একটু হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারতো যদি প্রফে পাশের হার একটুবেশি হতো। কিন্তু পাশের হারও সন্তোষজনক না হওয়ায় তা এসব সমস্যার সাথে যুক্তহয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিকে চরমে নিয়ে গেছে।
তাই, এবার দাবি আদায়ে বদ্ধ পরিকর পিএমসি।অনির্দিষ্ট কালের জন্য ক্লাস, পরীক্ষা, ওয়ার্ড স্থগিত।
(প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদক)
condition is worst ever in last 3 years. this is only for corrupted director.
এই সমস্যাগুলো কি এখনো আছে নাকি সলভ হয়ে গিয়েছে ?