চীনের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় শেন্ডং ইউনিভার্সিটি থেকে ক্লিনিক্যাল মেডিসিনে (কার্ডিওলজি) প্রথমবারের মত পিএইচডি অর্জন করে কৃতিত্ব বয়ে এনেছেন চট্টগ্রামের সন্তান ডা. মিসবাহুল ফেরদৌস ।
তিনি চট্টলা নগরীর ইউএসটিসি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইন্সস্টিটিউটে অনারারী মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগ দেন ২০০৮ সালে , পরবর্তীতে ২০০৯ সালে মাস্টার্স অব মেডিসিনে (কার্ডিওলজি) উচ্চশিক্ষা অর্জনে আত্ম নিয়োগ করেন এবং ২০১২ সালে চাইনিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অর্জন করে পিএইচডি( কার্ডিওলজি) তে লেখাপড়া শুরু করেন , এরই মাঝে ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব এলাবামা থেকে দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে বিশ্ব খ্যাত ডাক্তার এনসি নন্দার আমন্ত্রণে থ্রিডি ইকো-কার্ডিওগ্রাফির উপর ট্রেনিং গ্রহণ করেন, এছাড়াও ২০১২ সালে দিল্লীএপোলো হসপিটালে ডা. কেকে কাপুর এর আমন্ত্রণে 3D TEE উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং ২০১৬ সালে তাইওয়ানের কেথি জেনারেল হসপিটাল থেকে এঞ্জিওগ্রাম ও এঞ্জিওপ্লাস্টির প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন ।
চাইনায় প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে কার্ডিওলজিতে পিএইচডি সনদ হাতে পেয়ে কৃতিত্বটি মা,বাবা পরিবারের সদস্যবর্গ ও সহধর্মিণী ডা. ইফফাতুন নেসাকে (ক্যান্সার নিরাময়ে পিএইচডি তে অধায়ন রত) উৎসর্গ করেন।
পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নে আত্ম নিয়োজিত রেখেছেন ডা. মিসবাহুল ফেরদৌস, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতাল , মা ও শিশু হাসপাতালের লাইফ মেম্বার তিনি, তিনি যুক্ত রাষ্ট্র চাইনিস জার্নাল অব লিম্পোলজি এন্ড অঙ্কলজি এর এসোসিয়েট এডিটর ইন চীফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । পিতা ব্যবসায়ী ফেরদৌস আহমেদ এর দুই ছেলের মাঝে বড় তিনি ,দ্বিতীয় ছেলে মোঃ দাউদ আইন বিষয়ে ইতিমধ্যে লেখাপড়া শেষ করেছেন । দুজনের ইচ্ছে একটাই ডাক্তার আর আইনজীবী মিলে গরীব দু:খী মানুষের পাশে দাঁড়াবেন ।
চীনের শেন্ডং টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন “বিদেশ পাড়ি জমিয়েছি শিক্ষা অর্জনের জন্য, থেকে যেতে নয়” , চিকিৎসা বিজ্ঞানকে প্রযুক্তির সাথে মিলরেখে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাড়াতে চান তিনি । বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিতে চীনা সরকারকে পাশে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ডা. মিসবাহ ।