প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৫ জুলাই ২০২০, শনিবার :
হাওড় অঞ্চলে চিকিৎসা সেবার বাতিঘর প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। হাওড় অধ্যুষিত কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জকে বলা হয় হাওড়ের প্রবেশ মুখ। সেই করিমগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে ২০১৩ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের।
২০১৩ সালের ২৫ জুলাই, শ্রাবণের এক রৌদ্রজ্জ্বল দিনে কলেজটির ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ফার্স্টলেডি ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মিসেস রাশিদা হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।
আজ প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
“ব্যবসা নয়, সেবার জন্য এ প্রতিষ্ঠান”– রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মহোদয়ের এ বাণীকে ধারণ করে পথচলা শুরু। মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবরই কলেজের শিক্ষার্থীদের মানবিক চিকিৎসক হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগান। ইতিমধ্যেই জেলার চিকিৎসাসেবায় বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ঢাকা থেকে দূরবর্তী অবস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসা সেবা হাওড়ের মানুষের জন্যে ছিলো হতাশার আরেক নাম৷ সেই হাওড়ের মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেয়ার নিমিত্তে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। গরীব অসহায় রোগীদের বিশেষ সুবিধা সম্বলিত কার্ডের ব্যবস্থা, দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চক্ষু অপারেশন, বন্যার্তদের চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতা মূলক কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অসহায়-সম্বলহীন মানুষদের আর্থিক ও খাদ্য সুবিধা দিয়েও সাহায্য করেছে প্রতিষ্ঠানটি। মহামান্য রাষ্ট্রপতির নীতি ও আদর্শে শিক্ষার্থীদের আদর্শ চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তোলা এবং একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আ ন ম নৌশাদ খান। একই সাথে মানসম্মত চিকিৎসক তৈরির লক্ষ্যে সর্বোচ্চ একাডেমিক পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য করেছেন প্রখ্যাত শিক্ষকমণ্ডলীর এক মিলন মেলা।
৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের সকল শিক্ষক,চিকিৎসক, শিক্ষার্থীদের “প্ল্যাটফর্ম”-এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।