প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২১ জুন ২০২০, রবিবার
কোভিড-১৯ চিকিৎসায় আলোর সঞ্চার বয়ে এনেছে ‘প্লাজমা থেরাপি’।
‘প্লাজমা থেরাপি’ হলো কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে তার শরীর থেকে প্লাজমা/ রক্তরস অপর একজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করানো।
গত ১৮ই মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত জাতীয় গাইডলাইনে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) গত ২৭শে মে, ২০২০ তারিখে প্রকাশিত Clinical Management of COVID-19 Interim Guidence এ কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করে। এরই ধারাবাহিকতায়, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর জন্যে সবচেয়ে কম সময়ে দ্রুততর প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্লাজমা ডোনার খুঁজে আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রবেশ করানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে “প্ল্যাটফর্ম প্লাজমা ডোনার পুল”। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইডলাইন প্রকাশিত হওয়ার দিন থেকেই ঢাকায় কাজ করে যাচ্ছে “প্ল্যাটফর্ম প্লাজমা ডোনার পুল”। “প্ল্যাটফর্ম প্লাজমা ডোনার পুল” এর সার্বিক দিকনির্দেশনার দায়িত্বে আছেন শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারির সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক ।
ইতোমধ্যেই “প্ল্যাটফর্ম প্লাজমা ডোনার পুল” সিলেট বিভাগেও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। “প্ল্যাটফর্ম সিলেট জোন” এর উদ্যোগে ও সহযোগিতায় এই মহৎ কর্মে এগিয়ে আসে “নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল” এবং “মাউন্ট এডোরা হাসপাতাল”। “প্ল্যাটফর্ম সিলেট জোন” এর সহযোগিতায় মো. আব্দুল আহাদ মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে এবং ডা. মেহেদী হাসান নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম প্লাজমা দান করেন।
ইতোমধ্যেই সিলেটে বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত রোগীকে “প্ল্যাটফর্ম প্লাজমা ডোনার পুল” থেকে প্লাজমা থেরাপির ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। প্ল্যাটফর্মের স্বেচ্ছাসেবীরা কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া রোগীদের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে প্লাজমা থেরাপি ও এর কার্যকারিতা সম্পর্কে অবগত করার মাধ্যমে প্লাজমা দাতা হওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছেন। সিলেটের সব কটি মেডিকেল কলেজের কিছু তরুণ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা ৩ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজ করছেন “প্ল্যাটফর্ম সিলেট জোন” এ। এর মধ্যে একটি টিম হলো কাউন্সিলিং টিম, যারা সদ্য কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা সুস্থদের প্লাজমা দানে আগ্রহী করে তুলছেন বিভিন্নভাবে কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে। এই টিমে আছেন-
১. সাদিয়া মারজান
২. মোঃ তাসরিফুল আলম চৌধুরী
৩. শরিফ শাহরিয়ার
৪. নুসরাত জামান
৫. চৌধুরী ফাতিমা-আয্-যাহরা
৬. শান্তা ধর
৭. সাঈদা আরবী জুমা
৮. ফারজানা ফাইজা
৯. ইমরানা হক সাদিয়া
১০. অর্ক চৌধুরী
১১. রানিয়া আহমেদ
১২. মুবিনূর রহমান
১৩. ঈষিকা চক্রবর্তী
১৪. আহমেদ হাসান জিহাদ
১৫. ফয়জুর রহমান তালুকদার
১৬. তন্ময় দেব নাথ
১৭. আরিফ
১৮. আফনান খান
দ্বিতীয় টিম টি হলো ‘এনলিস্টিং টিম’ বা ‘ডকুমেন্ট টিম’। যাদের কাজ হলো সব তথ্য তালিকাভুক্ত করা। এই টিমে যারা কাজ করছেন-
১. আবুল হাসনাত খান
২. মোঃ তাসরিফুল আলম চৌধুরী
৩. সারোয়ার জাহান সাকিব
৪. নুজহাত নওশীন চৌধুরী
৫. তমা দাশ
এবং তৃতীয় টিম হলো ‘সোশ্যাল মিডিয়া টিম’। তারা কিনা হটলাইনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের কাজ করে যাচ্ছেন, যাতে করে যাদের প্লাজমার প্রয়োজন হয় তারা যেন সহজেই যোগাযোগ করতে পারেন। এই টিমে কর্মরত আছেন-
১. সাদিয়া মারজান
২. ইসরাত ইমু
৩. অর্ক চৌধুরী
৪. ইমদাদুল হক নয়ন
৫. চৌধুরী তানজিয়া সারওয়া
৬. তমা আহমেদ
৭. মুক্তাদির আবির
৮. অর্জুন চক্রবর্তী
৯. ফাতেমা তুজ জোহরা বৃষ্টি
১০. রহমান ফুজায়েল
১১. রানিয়া আহমেদ
১২. সাবিহা মেহজাবিন
১৩. তৌসিফ সাজিদ
১৪. এম হাসান অনিক
সবগুলো টিমের মধ্যে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন ডা. অদিতি চৌধুরী ও তাহমিদ হাসান সিয়াম। প্লাজমা কালেকশনসহ প্রতিটি ধাপেই সাহায্য করছে প্ল্যাটফর্ম প্লাজমা ডোনার পুল, সিলেট জোন।
“প্ল্যাটফর্ম সিলেট” এর এই উদ্যোগ ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মহলে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে।