২৮শে ফেব্রুয়ারি,২০২০
বহির্বিভাগের টিকিট কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর অতর্কিত হামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা,আনসার,ড্রাইভার,কর্মচারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন৷ বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন৷
বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানান,হামলাকারীরা লাঠি সোটা নিয়ে ১টি অ্যাম্বুলেন্স,১টি বাসসহ কমপক্ষে ৮টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে৷ এসময় বিএসএমএমইউ তে ভর্তি রোগী,কর্তব্যরত চিকিৎসক,কর্মকর্তা,নার্স,কর্মচারীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র আতংক ছড়িয়ে পড়ে৷ হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের কাঁচের দরজা সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে ফেলে৷ সিসিটিভি ফুটেজের সহায়তায় এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷
গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি,২০২০ তারিখে আনুমানিক দুপুর ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী পিয়াস,সাব্বির,নাঈম ইসলাম,সাগর শাহরিয়ার নিয়ম বহির্ভূতভাবে টিকিট চাওয়া নিয়ে পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মোঃ খালিদ হোসেনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়৷ এসময় বিএসএমএমইউ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন ওই চার শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (হাসপাতাল) মহোদয়ের কক্ষে নিয়ে যান৷ পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক বিষয়টির সমাধান করে দেন৷ কিন্তু পরিচালক (হাসপাতাল) মহোদয়ের কক্ষ থেকে বের হয়েই ওই চার শিক্ষার্থী সি ব্লকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেনকে মারধর করে আহত করে৷ এসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তব্যরত আনসার সদস্যসহ অন্যান্যরা এগিয়ে যান এবং ওই চার শিক্ষার্থীকে পুনরায় পরিচালক হাসপাতালের কক্ষে নিয়ে যান৷
এ ঘটনার খবর বিএসএমএমইউ এর পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর ঢাবির দুই জন সহকারী প্রক্টর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীমউদ্দীন হলের ভিপি মোঃ ফরাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকের (হাসপাতাল) অফিসে আসেন৷ পরবর্তীতে শাহবাগ থানা পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে বিএসএমএমইউ এর পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক,সম্মানিত প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ,সহকারী প্রক্টর কে এম তারিকুল ইসলামসহ ঢাবি কর্তৃপক্ষ উদ্ভুত পরিস্থিতি ও বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে আলোচলায় বসেন৷ কিন্তু আলোচনারত অবস্থাতেই বিকেল ৩টা ৫০মিনিটে কবি জসীমউদ্দীন হলসহ ঢাবির ২৫-৩০জন শিক্ষার্থী সশস্ত্র অবস্থায় বিএসএমএমইউ এর ১ ও ২ নং গেইট দিয়ে প্রবেশ করে গাড়ি ভাঙচুর করে এবং অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা,আনসার সদস্যা,ড্রাইভার ও কর্মচারীসহ কমপক্ষে ২০ জনকে পিটিয়ে আহত করে৷
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শাহবাগ থানা পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই চার শিক্ষার্থীকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন৷ ঢাবি শিক্ষার্থীদের হামলায় আহতরা বর্তমানে বিএসএমএমইউ তেই চিকিৎসাধীন আছেন৷
নিজস্ব প্রতিবেদক/সজীব কুমার