প্লাটফর্ম নিউজ, ২৫ই জানুয়ারি ২০২১, সোমবার
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার ফলে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মাঝে দুশ্চিন্তা বিরাজ করছে। তাই আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তাদের শিক্ষক -শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড (মাউশি)।
পুনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বাজেট তৈরিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর নিজস্ব তহবিল ব্যবহার করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ পাওয়া মাত্রই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে শ্রেণী কক্ষের বেঞ্চগুলো স্থাপন করার জন্য বলা হয়েছে। বেঞ্চ এর দৈর্ঘ্য যদি পাঁচ ফুটের কম হয় তাহলে প্রতি বেঞ্চে একজন করে এবং পাঁচ ফুট থেকে সাত ফুট হলে প্রতি বেঞ্চে দুইজন করে বসতে বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢোকার পূর্বে থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি জানান, “এখনি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একসাথে খোলা সম্ভব নয়। আপাতত স্কুলগামী শিক্ষার্থী যারা রয়েছে তাদের মধ্যে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে চারদিন এবং অন্যান্য শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস নেয়ার কথা জানিয়েছেন। যাতে একাধিক শ্রেণী কক্ষ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বসানো যায়।”
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে খোলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডঃ
১. নিরাপদ ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
২.শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করা।
৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিরাপদে চালু করা।
৪. শিক্ষা কার্যক্রম চলাকালে করোনার বিস্তার রোধে পদক্ষেপ নেওয়া।
কোভিড-১৯ মোকাবেলার জন্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো খুলে দেয়ার পূর্বেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষ্যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ঢোকার পূর্বেই শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে, পাশাপাশি থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করে প্রবেশ করতে হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দুই মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের পরীক্ষা না নেবার ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। যাতে করে তাদের উপর কোনো বাড়তি চাপ তৈরি না হয়। এই সময় শিক্ষার্থীদের মনকে উৎফুল্ল রাখতে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, কুইজ , সঙ্গীত চর্চা, কবিতা আবৃতি ইত্যাদির আয়োজন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ৩৯ পৃষ্ঠার নির্দেশনাটি ইউনিসেফের সহযোগিতায় প্রস্তুত করা হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিকে নতুন স্বাভাবিকতা (নিউ নরমাল) হিসেবে বিবেচনা করে এই নির্দেশিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক/ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ