প্ল্যাটফর্ম নিউজ,
সোমবার, ২০ এপ্রিল, ২০২০
”করোনা সন্দেহে টাঙ্গাইলের জঙ্গলে মাকে ফেলে গেছেন সন্তানেরা”, এই শিরোনামে গত বুধবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে দেশের বেশকিছু দৈনিক পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করে যা ভুল। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবীশ চিকিৎসক ডা. উম্মে কুলসুম শিমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বার্তা প্রকাশ করার পর আমাদের প্রতিনিধি তার সাথে যোগাযোগ করেন এবং তিনি সংবাদটি অসত্য বলে নিশ্চিত করেন। পুরোপুরি খোঁজ না নিয়েই এবং চিকিৎসকের পরীক্ষার ফলাফল ব্যতীতই সংবাদটি প্রকাশ করে ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত তার বার্তাটি আমরা জনগণের উদ্দেশ্য হুবহু তুলে ধরছি।
আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে আসা রোগিনীর (RT PCR for COVID-19 negative) ফাইলে বড় করে লেখা “অজানা”। টাঙ্গাইলের জঙ্গল থেকে পুলিশ সদস্যগণ উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন। তাদের ভাষ্যমতে, ‘করোনা সন্দেহে নিজ মা কে জঙ্গলে ফেলে গেছে সন্তানেরা।’
সেই থেকে ঢামেকের শ্রদ্ধেয় পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দীন স্যার এবং চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে। তার প্রাথমিক history & general examination করেন CA ডা. মুক্তাদির ভাইয়া। রোগিনীর COVID-19 এর কোন উপসর্গ ছিল না। সব test ফ্রি তে করার ব্যবস্থা করেন ভাইয়া। রিপোর্ট মোটামুটি ভালো আসলো কিন্তু, রোগিনীর কথাবার্তা, আচরণ ছিল অসংলগ্ন।
এর মধ্যে সন্ধান পেয়ে রোগিনীর বড় ছেলে হাসপাতালে আসেন। তার ভাষ্যমতে মা ১০-১২বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। কাউকে না জানিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেছে আগেও ৫-৬ বার! রাউন্ডের সময় ইউনিট প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ স্যার এবং সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাহিম স্যারের নির্দেশ মত psychiatric evaluation (মানসিক সমস্যার পরীক্ষা)- এর জন্য তাকে মানসিক রোগ বহির্বিভাগে নিয়ে যাই, আন্তরিকতার সাথে রোগিনীকে দেখলেন রেজিস্ট্রার ডা. পরাগ স্যার এবং বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন স্যার।
Diagnosis-Schizophrenia.
রোগিনী শারিরীক ভাবে সুস্থ, বিধায় তার সন্তানের অনুরোধে আজ ছুটি নিয়ে হাসিমুখে ফিরে যাচ্ছেন বাসায়।। অথচ এই খবর কেউ জানবেনা।
দুঃখের বিষয়, একজন মানসিক রোগীর পরিবার থেকে যেই যত্ন ও সহযোগিতা পাওয়ার কথা, রোগিনী তা পান নি। COVID-19 এর রোগী না হওয়া সত্ত্বেও সন্দেহের বশে সাধারণ মানুষ তাকে সাহায্য করতে আসেননি। But the door of DMCH is open for all & we DO always try our best to keep your heart beating.