৬ ফেব্রুয়ারি,২০২০
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০,সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রনালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে রাষ্ট্রীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদক “একুশে পদক” প্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
তালিকায় প্রকাশিত নাম অনুযায়ী এই বছর একুশে পদক পাচ্ছেন ২জন চিকিৎসক।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার এবং মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ডা. আ.আ.ম. মেসবাহুল হক ওরফে বাচ্চু।
এবার মরণোত্তর পদকপ্রাপ্ত ৫ জন ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম ব্যক্তি হচ্ছেন ডা. আ.আ.ম. মেসবাহুল হক ওরফে বাচ্চু যিনি একাধারে একজন চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ভাষাসৈনিক।
ব্যক্তিগত জীবনে মেসবাহুল হক রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে ১৯৩০ সালের ৩ মার্চ এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।তাঁর স্ত্রীর নাম মাসুদা হক।ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৩ ছেলে ও ২মেয়ের জনক।
মেসবাহুল হক ১৯৪৭ সালে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪৯ সালে আইএসসি পাস করেন,পরবর্তীতে তৎকালীন রাজশাহী মেডিকেল স্কুল(বর্তমান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ) কলেজ থেকে ১৯৫২ সালে এলএমএফ ডিগ্রী অর্জন করেন।
ছাত্রাবস্থায় মেসবাহুল হক মেডিকেল ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহন করেন।তিনি ১৯৫৪ সালে ছাত্রনেতা হিসেবে অন্য ছাত্রদের সাথে কারাবরন করেন।
মুক্তিযুদ্ধে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জে নেতৃত্ব দান করেন।
তিনি ১৯৭২ সালে প্রথম হস্তলিখিত সংবিধানে স্বাক্ষরকারীদের একজন।
তিনি ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে জাতীয় সংসদ সদস্যও ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালে তাঁকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করেন।২০১১ সালে নবনির্মিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্টেডিয়ামের নামকরন করা হয় ‘আ.আ.ম. মেসবাহুল হক স্টেডিয়াম।’
এই বছর চিকিৎসা ক্ষেত্র এবং মুক্তিযুদ্ধে অবদানের পাশাপাশি অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং ১টি প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক’ প্রদানের জন্য নাম ঘোষনা করা হয়েছে।পরবর্তীতে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০,’ওসমানী মিলনায়তনে’ প্রধানমন্ত্রী ঘোষনাকৃত ব্যক্তিদের পদক প্রদান করবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক /জান্নাতুন নাসিরা জুঁই