১৭ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার
১৬ ই ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কার্যক্রম শুরু করা হয় রংপুর মেডিকেলে, পতাকা উত্তোলন করেন রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ কে এম নুরুন্নবী লাইজু।
এরপর পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে। রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, হাসপাতাল পরিচালক, শিক্ষকবৃন্দ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), বিএমএ, ইচিপ, ছাত্রলীগ, সন্ধানী, ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন ও মেডিসিন ক্লাব রমেক ইউনিট, নার্সিং কলেজ, পাবলিক স্কুল, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ সকলে একে একে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর ৮.৩০ ঘটিকায় শুরু হয় বিজয় শোভাযাত্রা, এতে অংশ নেয় অত্র কলেজের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা।
৯.৩০ ঘটিকায় রমেক ছাত্রলীগের আয়োজনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন রমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ কে এম নুরুন্নবী লাইজু, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাহফুজুর রহমান। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. সৈয়দ মামুনুর রহমান, ডা. মনিরুজ্জামান রিংকু, ডা. এস এম নুরুন্নবী, ডা. মো. আব্দুল ওহাব, ডা. মাজেদুল ইসলাম লিটু, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান পাভেল, ডা. মো. কামরুল এইচ আপেল সহ অনেক গুণী ব্যক্তিবর্গ।
উক্ত সভায় অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ কে এম নুরুন্নবী লাইজু বলেন, ‘আজ বাঙালি জাতির গৌরবের দিন। যার জন্ম না হলে কখনো বাংলাদেশ নামক আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির জন্ম হতো না, প্রথমেই শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি সেই দেশপ্রেমী নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি আরোও বলেন ৭১-এর রাজাকারদের বিঁষদাত ভেঙে দিতে হবে, সেই সঙ্গে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমাদের এক হয়ে দেশের তরে কাজ করে যেতে হবে।’
শিক্ষার্থী মো. মিলন সরকার বলেন, ‘১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল বাংলার স্বাধীনতা। আজকের এই দিনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যার সুদৃঢ় নেতৃত্বে বাংলার আকাশে উদিত হয়েছিল বিজয়ের রক্তিম সূর্য।’
আরেকজন শিক্ষার্থী তানসু সিলার খান বলেন, ‘বিজয় দিবস একটি বিশেষ দিন হয়ে থাকলেই হবেনা। বিজয় দিবসের আর্দশকে যদি আমরা ব্যক্তি জীবনে ধারণ করি তবেই ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ মর্যাদা পাবে।
আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী বই বিতরণ করা হয়।
লেখা: মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন
(রমেক ৪৬)
স্টাফ রিপোর্টার
ওয়াসিফ হোসেন