সবার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য:
আমাদের বাসায় বা আত্নীয় দের মাঝে
অনেক এর এ ডায়াবেটিস রোগ আছে।
ডায়াবেটিক নিয়ে রোজা রাখতে কিছু
নিয়ম মেনে চললে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা
এড়ানো যায়।
আপনাদের সুবিধার জন্য খুব সহজ করে
লিখলাম।
১)ব্লাড পরীক্ষা করা যাবে কিনা?
ডায়বেটিস রুগির রোজার সময় গ্লুকোমিটার
দিয়ে রক্ত পরীক্ষা করা যাবে,এক্ষেত্রে
সবচেয়ে ভাল সময় সেহরির দুই ঘন্টা পর ও
ইফতারের একঘণ্টা আগে।এছাড়া রুগির
অবস্থা বুঝে যেকোন সময় মাপা যাবে।
২)কি খাবে?
রোজার আগে যা খেত তাই খাবে।ইফতারির
সময় অধিক পরিমান শর্করা ও তেল জাতীয়
খাবার পরিহার করা উত্তম।যে শর্করা খুব
তাড়াতাড়ি শোষন হয় সেটা ইফতারে
খাওয়া ভাল। যত দেরিতে সম্ভব সেহরি
খেতে হবে।
৩)ব্যায়াম আলাদা ভাবে করবে কিনা?
আলাদা করে ব্যায়াম এর দরকার নেই কারন
সালাতে তারাবিহ ঈ ব্যায়াম হিসেবে গন্য
করা হয়।
৪)রোজা কখন ভাংবে?
যদি দিনের যেকোন সময়ে রক্তে গ্লুকোজ এর
পরিমান ৩.৩ এর নিচে চলে আসে অথবা
সেহরির কয়েক ঘন্টার মাঝেই ৩.৯ এর নিচে
বা ১৬.৭ এর উপরে।
৫)রোজার আগেই করনীয় কি?
রোজা শুরুর আগে থেকেই রক্তের গ্লুকোজ,
চরবি, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে নিয়ে
আসতে হবে
৬) ওষুধের ডোজ কমানো বাড়ানো যাবে
কিনা?
হ্যা যাবে তবে অবশ্যই চিকিতসকের
পরামর্শ মত।
৭) কোন ওষুধ গুলো বেশি নিরাপদ?
মেটফরমিন জাতীয় ( কমেট,মেটফো,মেট,
বিগমেট) ও গ্লিটাজোন জাতীয়
( টস,ডায়াগ্লিট,সেন্সুলিন)।
একটু রিস্কি গুলো হল: গ্লিবেনক্লামাইড
,গ্লিপিজাইড,গ্লাইক্লাজাইড,গ্লি
মেপেরাইড জাতীয় ওষুধ গুলো।
উপরের ওষুধ গুলো র মাঝে যেগুলো বেশি সময়
ধরে কাজ করে যেগুলো পরিহার করে অল্প
সময়ের কাজের ওষুধ ইফতারে দিতে হয়।
৮) কোন কোন ওষুধ এর ডোজ ঠিক করা লাগে
না?
পায়োগ্লিটাজোন ( টস), রসিগ্লিটাজোন
( সেনসুলিন) রিপাগলিনাইড ( গ্লিমেট)
নাটেগলিনাইড( স্টারলিক্স) জাতীয় গুলো।
৯) ডোজ ঠিক করা লাগে?
মেটফরমিন ( কমেট, মেট),গ্লাইক্লাজাইড
( কমপ্রিড),গ্লিপিজাইড (গ্লিমেরল),
গ্লিবেনক্লামাইড ( ডাইবেনল),গ্লিমে
পেরাইড (সেকরিন,এমারিল,ডায়ারিল)
১০)কেউ দিনে একবার ওষুধ নিলে তারজন্য
কিভাবে নিবে?
কেউ যদি সারা দিনে একবার ইনসুলিন বা
মুখে খাওয়ার ওষুধ খায় তাহলে তার সেই
ডোজ টা ইফতারে নিবে।
১১) কেউ সারাদিনে দুইবার ওষুধ নিলে?
যারা রোজার আগে সারাদিনে ইনসুলিন বা
ওষুধ দুইবার নিতেন তারা তাদের আগের
সকালের ডোজ টা নিবেন ইফতারে আর
আগের রাতে ডোজ এর অর্ধেক নিবেন
বর্তমান সেহরিতে।
যারা মেটফরমিন পেতেন তাদের টোটাল
ডোজ এর অর্ধেক পাবেন ইফতারে আর
চারভাগের একভাগ পাবেন সেহরিতে।
টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিক রুগির জন্য বাড়তি
নিয়ম:
১) যাদের তিনবার ইনসুলিন দেয়া লাগে
তাদের ক্ষেত্রে দুই ডোজ শর্ট একটিং
ইনসুলিন ( একট্রাপিড,হিউমুলিন আর) নিবেন
ইফতারে আর সেহরি তে এবং
ইন্টারমিডিয়েট একটিং ইনসুলিন
( ইন্সুলাটারড,এনসুলিন এন) নিবেন শেষ
বিকেলে।
২) যারা দিনে দুই ডোজ ইনসুলিন নেন তারা
(যেমন মিস্কটারড) রোজার আগের সকালের
ডোজ নিবেন ইফতারে আর সেহরিতে নিবেন
শর্ট একটিং ইনসুলিন ( যেমন একট্রাপিড)
# সবাই সুস্থ থেকে সিয়াম সাধনা পালন
করার সৌভাগ্য পান এই দোয়া রইল।
ডা. এস. এম. রাশেদুল হাসান ( রাশেদ)
শ্রীনগর উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স,
মুন্সীগঞ্জ।
লিংক না দিয়ে এই তথ্যটা ফেসবুকেই শেয়ার করা উচিত।।
Eita Automated post ….
Mul post fbte ase.amader grp and post datar nijer wall a ase.thanks for your concern. It’s for people outside our group