প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ০৬ নভেম্বর, ২০২০, শুক্রবার
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসা খাতের উন্নয়নে নতুন যে প্রচেষ্টাটি হাতে নিয়েছেন তা হল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশেষায়িত ক্যান্সার ইউনিট নির্মাণ। অবশ্যই এই ক্যান্সার ইউনিট চালু হলে বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষের ক্যান্সার চিকিৎসা আরও সহজতর হবে, পাবেন বিশেষ সুবিধা। কিন্তু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গনে একাডেমিক ভবন ভেঙে ক্যান্সার ইউনিট প্রতিষ্ঠার ফলে মেডিকেল কলেজকে ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারণ করা যেমন অসম্ভব হয়ে পড়বে তেমনি কলেজের একাংশ বৃদ্ধি করার জন্য যে বর্ধিতাংশটুকু নির্ধারিত ছিল তাও কাটা পড়বে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে ক্যাম্পাসের প্রাক্তন ও বর্তমান সকল চিকিৎসক ও চিকিৎসক নেতৃবৃন্দসহ ছাত্র-শিক্ষক সকলকে একযোগে এর ঐতিহ্য ও স্মৃতি ধরে রাখার জন্য জোরালো ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন চমেকের শিক্ষার্থীরা। ক্যান্সার ইউনিট বিকল্প জায়গায় প্রস্তুত করার প্রস্তাবনা এবং এর সুবিধা অসুবিধা গুলো সকলের সামনে তুলে ধরলে হয়ত প্রতিটি জিনিস এর সঠিক ব্যবহার সঠিকভাবে করা যাবে বলেও মনে করছেন তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী বলেন,
“আমাদের দেশের নব্বই শতাংশ মানুষ মনে করেন মেডিকেল কলেজ মানেই চিকিৎসাকেন্দ্র, এটি যে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা কেউ মানতে চায় না। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তাই এটি বলাবাহুল্য যে, ক্যান্সার ইউনিট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হলে শিক্ষাব্যবস্থার আসল উদ্দেশ্য যেমন ব্যাহত হবে, তেমনি প্রকল্পের উদ্দেশ্যও ব্যাহত হবে। ক্যান্সার ইউনিট প্রতিষ্ঠা ছাড়াও অতীতের আরো কিছু প্রকল্প স্থাপনা নির্মাণ সম্পন্ন হলে বাড়তি লোকজন ও যানবাহনের সমাগমের ফলে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে তাও একবার ভেবে দেখতে হবে। ক্যান্সার চিকিৎসায় চট্টগ্রাম বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার অভাবে অনেক পিছিয়ে আছে। তাই পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপন অবশ্যই একটি ভাল উদ্যোগ। এর জন্য আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট কৃতজ্ঞতা পোষণ করছি। কিন্তু এটি কলেজ ক্যাম্পাসে স্থাপন না করে বিকল্প কোথাও স্থাপন করা হলে আরো বেশি সুবিধাজনক হবে।”
নিজস্ব প্রতিবেদক
জান্নাতুন নূর আয়মন