ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ইভটিজার রিয়াদকে উত্তমমধ্যম দিয়ে পুলিশে দিল ওলিভ,নাঈমুর,প্রমিজ,ফয়সাল,আবিদ,মুজাহিদ,শুভ,কৌশিক,সোহাগ,রিজন,নিপুন,ফারহান,শিমুল,আরিফ সহ বেশ কয়জন সাধারণ শিক্ষার্থী।
তথ্য সূত্রে,
গতপরশু রাতের ঘটনা,এক মেয়ে মেসেজ দিয়ে জানায় এক ছেলে থাকে হুমকি,ধামকি সহ বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে আসছে।মেয়েটা খুব ভয় পেয়ে যায়।কিছু একটা করতে বলে।তারপর সে তার কাহিনী মেডিকেল স্টুডেন্টদের গ্রুপে পোস্ট করলে আরে ২০-৩০ মেয়ে কমেন্টে ঐ ছেলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করে।
জানা যায়,ছেলেটির নাম রিয়াদ।সে “ময়মনসিংহ ফুড & মেডিসিন” নামক অনলাইন ফুড ডেলিভারি সিস্টেমের মাধ্যমে খাবার দিয়ে থাকে।লেডিস হোস্টেলের মেয়েরা তার কাছ থেকে খাবার ডেলিভারি নিতো।রিয়াদ নামক বখাটে সেই নাম্বার সংগ্রহ করে বাহিরে খারাপ ছেলেদের বিলি করত এমনকি সে নিজেও বিভিন্নভাবে মেয়েদের হেনস্তা করত।
কালকে বিষয়টি নিয়ে ভালোভাবে জানাজানি হলে সর্বমহলে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।তারপর ওলিভ,নাঈমুর,কৌশিক সহ বাকিরা কৌশলে তাকে ডেকে এনে উত্তমমধ্যম দিয়ে ঘটনা স্বীকারোক্তি নেয় এবং মাফ চাওয়ায়।ইভটিজার রিয়াদ তার অপরাধ স্বীকার করে,এবং আর কখনও এমন করবেনা বলে প্রতিজ্ঞা করে।
পরে তাকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়।মমেক ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান তুষার অসুস্থতা জনিত কারণে না থাকায় সাধারণ সম্পাদক সাদ মাহমুদ জয় সহ চতুর্থ বর্ষের আরিফ,ফারহান,রতন,শিমুল সহ বেশকয়জন সেসময় উপস্থিত ছিলেন।
আসামী ইভটিজার রিয়াদ এখন কোতোয়ালি থানায় পুলিশের হেফাজতে আছে।