” নিরাপদ কর্মস্থল চাই “
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হোস্টেল… একাডেমিক ক্যাম্পাস থেকে দূরে…রেল স্টেশনের পাশে অবস্থিত…।হোস্টেলের এরিয়ার মধ্যে সবসময় বহিরাগত মানুষের চলাফেরা মেডিকেল স্টুডেন্টদের চেয়ে বেশি..।হোস্টেল এরিয়ায় ছাত্রদের কোনো নিরাপত্তা নেই…। চার তারিখ ভোর চারটার দিকে হোস্টেলে চুরি করতে এসে
এক চোর ধরা পড়ে..।চুরি হওয়া হোস্টেলের কমন ঘটনা…।স্টুডেন্টরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই চোরকে মারধর করে…। চোরটি মাদকাসক্ত ছিলো…।পরে দুপুরে সেই চোর হাসপাতালে মারা যায় ..। এই ঘটনায় ওই চোরের লোকজন ছাত্রদের হোস্টেলের দুটো প্রবেশ মুখে হামলা করে…।কলেজ থেকে হোস্টেলে আসার পথ আটকে দেয়…।অ্যাপ্রন পড়া মেডিকেল স্টুডেন্ট দেখলেই লাঠি..বাঁশ…রড…রামদা দিয়ে আঘাত করে…। চার তারিখ সন্ধ্যার দিকে সেই বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হোস্টেলের এরিয়ার গেটে দাঁড়িয়ে যেই বের হয় তাকে মারধর করে… দ্বিতীয় বর্ষের দুইজনকে ..প্রথম বর্ষের একজন ছেলেকে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং রক্তারক্তি হয়ে যায়…এবং আরো অনেক মেডিকেল স্টুডেন্টকে মারধর করা হয়েছে…। পাঁচ তারিখ সকালে চতুর্থ বর্ষের একজনকে এবং তৃতীয় বর্ষের তিনজনকে মারধর করেছে…। প্রশাসন এই ঘটনায় সামান্য চার পাঁচজন পুলিশ পাঠিয়েই শেষ…। হোস্টেল থেকে বের হতেই গেলেই যখন জীবনের নিরাপত্তা থাকে না…তখন আমাদের হোস্টেলে থাকা সম্ভব না…।চার তারিখ রাতে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হোস্টেলে হানা দিছে..।তারা বাইরে অপেক্ষায় আছে রাত আরো গভীর হবার…। এই কারনে বর্তমানে ছাত্রাবাসের সব ব্যাচের সকল ছাত্ররা জীবন বাঁচানোর জন্য ভিন্ন পথে হোস্টেল ত্যাগ করেছে…। এভাবে আর কতো…? মেডিকেল স্টুডেন্টদের জীবনের নিরাপত্তা কি প্রশাসন দিবে না…? Boys hostel এর সামনে…যে মহান সাইনবোর্ডটি আছে…”বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ””…আমরা এই মহান বানীর বাস্তবায়ন না দেখা পর্যন্ত হোস্টেলে ফিরবো না…