রবিবর, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫
রংপুরে উপহারস্বরুপ একহাজার শয্যার হাসপাতাল বানাবে চীন। বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের কূটনীতিক সম্পর্ক উপলক্ষে এ হাসপাতাল উপহার দিবে চীন সরকার। সেটি দেশের রংপুরে তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। সংবাদ সম্মেলনে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার সার্বিক পরিস্থিতির বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূতকে আমরা বলেছিলাম, রবোটিক ফিজিওথেরাপির সেট একটি আমাদের উপহার হিসেবে দিতে। আমাদের শুধু আন্দোলনে আহতদের জন্য না, ভবিষ্যতেও দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য লাগবে। চীন আমাদের কথা রেখেছ, একটি সেট আমাদের উপহার হিসেবে দিয়েছে। এটা বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে আছে। এটা স্থাপন করতে আমাদের ৬ হাজার স্কয়ার ফুটের মতো জায়গা লাগবে। আমরা সেই জায়গা ঠিক করেছি বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাবেক বিএসএমএমইউ)। সেখানে এটা ডেডিকেটেড করা থাকবে। আমাদের আহতরা সেখানে ফিজিওথেরাপি নিতে পারবে। তার জন্য আমরা একটি দলকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দিবো। ব্যাংকক থেকে আমরা এক্সপার্ট নিয়ে আসবো, তারা এখানে ট্রেনিং দিয়ে গেলে ভবিষ্যতে সবাই এখান থেকে সহায়তা পাবেন। আমাদের এখানে একটা রবোটিক ফিজিওথেরাপি বসালে হবে না, আমরা উত্তরবঙ্গে এবং চট্টগ্রামে দেওয়ার চেষ্টা করবো। যাতে ওখানকার রোগীদের এখানে ফিজিও থেরাপি দিতে আনতে না হয়।
হাসপাতাল তৈরি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, তিস্তা প্রকল্পের আশেপাশে ন্যূনতম ১২ একর জায়গা খোঁজা হচ্ছে। নীলফামারী, রংপুর এবং দিনাজপুরের মাঝামাঝি জায়গায়। তবে নীলফামারীর একটা জায়গা পেয়েছি। এটার সম্ভাবনা যাচাইয়ের একটা সমীক্ষা আমরা করবো।
এসময় প্রেস সচিব শফিকুল আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল খায়ের, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) পরিচালক ডা. মো. আবুল কেনান, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
প্ল্যাটফর্ম/এমইউএএস