মিটফোর্ড হাসপাতাল ও মিটফোর্ড মেডিকেল স্কুল। দেশের অন্যতম প্রাচীন এই মেডিকেল ও চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গার কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে সেই ১৮৫৮ সালে।৭২ এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাত ধরে তা মেডিকেল কলেজে রুপান্তরিত হয়।হাঁটি হাঁটি পা পা করে ২০১৭ এ এসে ৪৫ টি ব্যাচ রঙিন করেছে এই ছোট্ট ক্যাম্পাস আঙ্গিনা।
৫ জানুয়ারী ২০১২, সলিমুল্লাহর লাল দালানে অভিষেক ঘটে ৪১ তম ব্যাচের।তারপর থেকে কি একাডেমিক, কি সাংস্কৃতিক, সামাজিক,প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল ক্ষেত্রে ৪১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের দৃপ্ত পদচারণার স্বাক্ষর রেখে চলছে যা তাদের জাগতিক ৪১ নামের সাথে বেশ মানিয়ে গেছে।
আইটেম,কার্ড,টার্ম,প্রফ,ওয়ার্ড,টার্ম,প্রফ এর অধ্যায়গুলো পার করে তারা আজ মেডিকেল শিক্ষাসমাপ্তি তথা চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষায় অংশগ্রহনের মুখে। চোখেমুখে যে রঙিন স্বপ্ন আর মানবতার মহান ব্রত নিয়ে শুরু হয়েছিলো ৪১ এর পথচলা তা আজ নতুন রুপ পাওয়ার মুখোমুখি। সামনের দিনগুলোতে আর হয়তো ক্যাফেটেরিয়ার চায়ের কাপে এভাবে গল্পের ঝড় উঠবে না।হবে না লেকচারে হঠাৎ ঘুমিয়ে যাওয়া।অলির ক্যান্টিনের গান আর অবকাশের খিচুড়ি ও খাবে অন্য কেউ। ডাইনিং এর আণুবীক্ষণিক সাইজের মুরগী আর পানির চেয়েও তরল ডাল চেখে দেখা হবে না।হবে না ছাদ থেকে বুড়িগঙ্গায় রাতের সৌন্দর্য উপভোগ।বাৎসরিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ও অংশগ্রহনের যোগ্যতা হারাতে হবে।লাইব্রেরি আর রিডিং রুমে খুনসুটিময় পড়া আর খুঁটিনাটি ভালবাসাগুলো ও ব্যস্ততার চাপে রঙ হারাবে।
সবই হবে নতুন দিনের নতুন স্বপ্নের আহবানে আর সেটি হলো পরিপূর্ন ডাক্তার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত হবার আহবান। আর এই স্মৃতিগুলোকে ধরে রাখার নিমিত্তে গত ৫,৬,৭ অক্টোবর জাগতিক ৪১ এর শিক্ষার্থীরা আয়োজন করেছিলো ৩ দিন ব্যাপী র্যাগ।
প্রথমদিনে রঙ উৎসব,২য় দিনে আতশবাজি,কনসার্ট আর ডিজে আর তা শেষ হয়েছে একটি চমৎকার নৈভোজের মাধ্যমে। স্বপ্নময় রঙিন হোক তাদের এ একনিষ্ঠ পথচলা।
“ভালো থাক ক্লাসরুম কবিতার পাতা হয়ে, SSMC এর স্মৃতিতে ৪১ অমর হয়ে”
তথ্য : রাসেল মাহমুদ
ছবি ঃ সৌমিক হাসান