ডাঃ মুহাম্মদ তাইফুর রহমান,কে-৫৭, ডিএমসি
প্ল্যাটফর্ম পত্রিকার চতুর্থ সংখ্যায় প্রকাশিত।
ক্লাস থ্রি থেকে ফোরে উঠার সময় ফার্স্ট হয়ে গেলাম। বলা যায় ল্যাংড়া ঘোড়ার মধ্যে ফার্স্ট। ছোট কিন্ডারগার্টেন স্কুল, ছাত্র কম। যা হোক, সুন্দর একটা হিরো কলম পেলাম প্রাইজ। স্কুল থেকে বলে দিল, আগামীবার যে ফার্স্ট হবে, তাকে আরও আকর্ষণীয় পুরস্কার দেয়া হবে। পরেরবার আর পারলাম না। ফাইভে উঠলাম সেকেন্ড হয়ে। সেকেন্ডের পুরস্কার একটা বই হাতে ধরিয়ে দিল। খুব মন খারাপ করে বাড়ি ফিরলাম। আব্দুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিনের ‘বিজ্ঞান এর বিস্ময়’। লেজারের গল্প, হারিয়ে যাওয়া আটলান্টিস এমন কয়েকটি লেখা । এর মধ্যে আবার ছিল হিপক্রেটিসের গল্প, ঐযে হিপক্রেটিস ব্ল্যাক ওয়াটার ফিভারের বর্ণনা দিলেন, “লিখে রাখ দেসিপ্পাস, কাল রঙের প্রসাব।” “অতএব প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম…।” আমার আজও মনে আছে তাঁর ডায়লগ। তাঁর পর্যবেক্ষণ ‘হিজড়াদের গোদ বা টাক হয়না।” অদ্ভুত এক লোক নিজেই ডাক্তার, নিজেই রোগের কারণ নিয়ে ভাবেন, নিজেই আবার ওষুধ বানান (ওষুধগুলো হাস্যকর লাগবে আজকে, চুনের পানি টাইপ)। তবু তাঁর সময়ে, যখন রোগ বলতে মানুষ বুঝত হেকাতি দেবীর অপকীর্তি, সে সময়ে তিনি ছিলেন অনেক অগ্রসর মানুষ।
আশে পাশে অনেক ডাক্তার দেখতাম। কারো মধ্যে হিপক্রেটিসের ছায়া দেখতাম না। সবাই প্র্যাকটিস করছেন, রোজ এক গাদা রোগী। এক কাজ করেই যাচ্ছে, নতুন কিছু নেই। নিজের সৃষ্টিশীলতার তো কোন বিষয়ই নেই। ফ্রয়েডের চিন্তাভাবনার সাথে পরিচয় হল আরও পরে, ক্লাস নাইনের দিকে মনে হয়। এ আমাকে অনেক আনন্দ দিলঃ ডাক্তার, কিন্তু এমন সম্মোহনী তাঁর সৃষ্টিশীল চিন্তা! নিজেই তত্ত্ব দেয়া, নিজেই আবার সেটা করে দেখানো। অনেকটা নিজে পথ বানিয়ে সেই পথে হাঁটার মত। এই যুগে আর এমন দেখা যায় না, আসলে যায়। ১৯৯৮ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ফরিদ মুরাদ। হতভম্ব হয়ে গেলাম। এতো বাঙালি নাম। সারা জীবন দেখে এসেছি বিজ্ঞানীর নাম হয় আলবার্ট, আইজ্যাক নয়ত জোসেফ। জনকণ্ঠ ঘেঁটে বের করলাম ফরিদের ঠিকুজি। বাবা আলবেনিয়ান যতদূর মনে পড়ে অ্যামেরিকায় থাকে। সে ডাক্তার, আবার ঔষধ বানায় (ফারমাকোলজিস্ট)। তাঁর একটা ওষুধ কোম্পানিও আছে। একাই একশো-চিকিৎসাবিজ্ঞানী। পরের বছর আমি মেডিকেলে ভর্র্তি পরীক্ষা দেই। এবং আর কোথাও দেইনি। আব্বা বললেন, যদি চান্স না পাও? বললাম,পরের বছর আবার মেডিকেলে পরীক্ষা দিব।
ফরিদ মুরাদকে আমি ২০০৯ সালে আমেরিকা আসার ৭ দিনের মধ্যে ইমেইল করি। আমার টাইপিং স্পিড ছিল মিনিটে ৫ শব্দ। কয়েকঘন্টা কষ্ট করে লেখা ইমেইলের উত্তর পেলাম ২১ দিন পর। সে কি আনন্দ! কিন্তু ফরিদ মুরাদরা কারা? এরা আবার কেমন ডাক্তার? কোথায় এরা পড়াশোনা করে? ১৯৫৬ সালে ওহাইওর কেস ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি একটা পাগলামি করে। তাঁরা হিপক্রেটিসের মত বহুমুখী চিকিৎসাবিজ্ঞানী বানাবে। প্রযুক্তির উন্নতির এই যুগে সবাই যখন ধীরে ধীরে সুপারস্পেশালিস্ট বানাচ্ছে; ডান চোখের ডাক্তার বাম চোখের চিকিৎসা দেয় না বা জানে না, সেই আমলে তারা হাঁটল উলটা পথে। অ্যামেরিকায় ডাক্তারি পড়তে ২ লাখ ডলার লাগে কমপক্ষে। বেশিরভাগ ছাত্রই লোন নিয়ে পড়ে। কেস ওয়েস্টার্ন এই তথাকথিত নতুন হিপক্রেটিসদের সেই ২ লাখ ডলার টিউশন মাফ করে দিল। তার উপর দিল স্কলারশিপ (১ লাখ ডলার এর বেশি সব মিলে)। ফরিদ মুরাদ সেই প্রথম ব্যাচের ছাত্র। ১৯৯৮ এ সে নোবেল পাওয়ার অনেক আগেই আমেরিকা জেনে গেছ, একটা বিপ্লব ঘটে গেছে। চিকিৎসক চিকিৎসা দিবে বিজ্ঞানীর কথামত, এই দিন বোধ হয় ফুরাতে বসেছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের নেতৃত্ব দিবে চিকিৎসাবিজ্ঞানী, যাদেরকে তারা বলল ফিজিশিয়ান-সায়েন্টিস্ট। কেস ওয়েস্টার্ন যে সুযোগ সুবিধা দিয়েছিল ফরিদদেরকে, তার চেয়ে বেশি সুবিধা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো সব ইউনিভার্সিটি। এটাকে বলে এমএসটিপি প্রোগ্রাম (মেডিক্যাল সায়েন্টিস্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম)। ৭ বছর পড়ে এরা পায় এমডি,পিএইচডি ডিগ্রি। যেখানে ৪ বছর লাগে এমডি করতে, পিএইচডিতে লাগে আরও ৫-৬ বছর। সবচেয়ে বড় কথা এই বিজ্ঞানিরা হয়ে উঠে তুখোড়, তারা শুধু বিজ্ঞান চর্চাই করে না, তারা জানে কোন আবিস্কার করলে মানুষের সত্যিকারের উপকার হবে। যেহেতু তারা মানুষের সাথে কথা বলে, জানে,সমস্যা কোনটা গুরুতর। কোনটার পিছনে গবেষণায় টাকা ব্যয় করা উচিত। সরকার এই নতুন ধরণের বিজ্ঞানীদেরকে ফান্ড দিয়ে সবচেয়ে ভাল ফল পেল। এমডি ,পিএইচডিরা মেডিসিনে নোবেল পেয়েছে এর মাধ্যে প্রায় ৩৫ টা, অথচ পৃথিবীতে বছরে মাত্র ১০০০ জন বের হয় (মূলতঃ আমেরিকায়, আর কোথাও এই ডিগ্রী আছে বলে জানা নেই আমার) ।দুনিয়াতে কয়েক লক্ষ পিএইচডি বের হয় প্রতি বছর। তাদের এই সাফল্য শুধু সর্বচ্চ পর্যায়েই সীমাবদ্ধ নয়। এমডি, পিএইচডিরা শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে একাডেমিক ক্যারিয়ার গড়েছেন; শুধু এমডি বা পিএইচডিদের ক্ষেত্রে সেটা অকল্পনীয়। এই সাফল্যের পুরস্কার তারা পাচ্ছেন। আমেরিকাতে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথের ফান্ড পাওয়ার দৌড়ে তারা সবচেয়ে এগিয়ে আছেন। একমাত্র এই চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাই একটা বিষয়ের তাত্ত্বিক আর ব্যবহারিক দুটো দিক জানেন। ফলে তারা গবেষণাকে মানুষের কল্যাণে জন্য ব্যবহার উপযোগী করতে পারেন খুব সহজে।
গবেষণার খুব বড় একটা অংশ করা হয় প্রাণীর উপর। কিন্তু মানুষের উপর এর প্রয়োগ কি হতে পারে, তা ভাল জানেন চিকিৎসক। আবার চিকিৎসক কিন্তু আবার জানেন না যে গবেষণটি কিভাবে করা হবে। ফলে এমন একজন দরকার হয়ে পড়ে যিনি দু’টোই জানেন। এখানে চলে আসেন চিকিৎসা বিজ্ঞানী। আরেকটা বিষয় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা হল, বিজ্ঞানীরা প্রায়ই সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না যে কোন গবেষণাটি মানুষের জন্য ঠিক এই মুহূর্তে প্রয়োজন। যেহেতু তারা মানুষের রোগবালাই সম্পর্কে প্রশিক্ষিত নন, অনেক ক্ষেত্রেই তাদের আবিষ্কার শুধু আবিষ্কার হিসেবেই থেকে যায়; মানুষের প্রয়োজন হয়ত তখন অন্য কোন কিছুর। দেখা যাচ্ছে যে গবেষণাগারে যেসব আবিষ্কার হচ্ছে গড়ে ২৪ বছর পর তার প্রয়োগ হচ্ছে। এবং সত্যি বলতে কি অনেক কিছু কোনদিন প্রয়োগই হচ্ছে না। এর কারণ, ব্যবহারিক প্রয়োগ হবার আগেই আরও উন্নত কোন আবিষ্কার হচ্ছে। এখানে আরও একটা বিষয় এসে যাচ্ছে, বাজেট। সুনির্দিষ্ট বাজেট এর মধ্যে থেকে কোন কাজটি আমরা করব? এসব বিষয় মাথায় রেখে ইদানিং একটা নতুন ধরণের গবেষণা শুরু হয়েছে। এটাকে বলে ‘ট্র্যান্সলেশনাল সায়েন্স’। বাংলায় বানান যায় ‘অনুবাদ-বিজ্ঞান’। এই অনুবাদ হল বেসিক সায়েন্স, এপিডেমিওলজি আর ক্লিনিকাল সায়েন্সের মেলবন্ধন। এখানে ২ পর্বে কাজ হয়ঃ প্রথমে এপিডেমিওলজিকাল গবেষণা করে বের করা হয় যে মানুষ কি ধরণের সমস্যায় ভুগছে এবং তার সম্ভাব্য কারণ কি। কারণ বের করার পর তার চিকিৎসার জন্য ওষুধ আবিষ্কার করা । বিশাল এই কর্মযজ্ঞ কে নেতৃত্ব দিবে? একজন বেসিক সায়েন্টিস্ট যে কিনা কেমিস্ট্রি জানে? তাকে তবে এপিডেমিওলজি আর ক্লিনিকাল মেডিসিন জানতে হবে। যেহেতু গবেষণার উদ্দেশ্য মানুষের উপকার, অতএব এই কাজটি তিনি করবেন, যিনি মানুষ সম্পর্কে ভাল জানেন। মানে চিকিৎসাবিজ্ঞানী। মানুষ তার মাতৃভাষা, বেসিক সায়েন্স সেকেন্ড লাঙ্গুয়েজ। সঙ্গত কারণেই এ ধরণের গবেষণার নেতৃত্ব চলে যায় চিকিৎসাবিজ্ঞানীর হাতে। ২০০৬ এ ট্র্যান্সলেশনাল সায়েন্সে প্রথম পিএইচডি চালু হয়। গত আট বছরে ৬০ টা ইউনিভার্সিটি তা চালু করে ফেলেছে।!সময় লাগে মাত্র ৩ বছর। এর বাইরে নতুন এক পদের ফিজিশিয়ান সায়েন্টিস্টের ধারণা নিয়ে এসেছে ইদানিং ‘মাউনট সাইনাই’ হসপিটাল, নিউ ইয়র্ক । তারা রেসিডেন্সি ট্রেনিং করার সময় ডাক্তারদের গবেষণা শেখাবে। আমেরিকানদের অবশ্য সুবিধা। ওরা মেডিকেলে ঢোকার আগেই কোন একটা বিষয়ে ব্যচেলর করে আসে (যেমন কেমিস্ট্রি বা বায়োলজি বা এমন কিছু)। ফলে ফিজিশিয়ান-সায়েন্টিস্ট হয়ে ওঠা ওদের জন্য সহজতর। এমনকি ওরা অনেকে শুধু এমডি করেই বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ শুরু করে, কারণ বেসিক সায়েন্স তাদের জানা থাকে।
সে তুলনায় বাংলাদেশের ডাক্তারদের জন্য পথটা একটু দুর্গম। কিন্তু এর মধ্যেও আব্দুল্লাহ বাকী, হাবিবুল আহসান, সেজান মাহমুদের মত চিকিৎসাবিজ্ঞানী আমাদের তৈরি হয়ে গেছে। এরা সবাই মুলতঃ এপিডেমিওলজি নিয়ে কাজ করেন এবং ক্লিনিকাল প্র্যাকটিসের সাথে জড়িত হবার সময় পাননি উনারা। বেসিক আর ক্লিনিকাল এর মেলবন্ধন ঘটানো বাংলাদেশি বিজ্ঞানী আছেন কিনা আমার জানা নেই; উঠে আসছেন এমন কাউকে কাউকে চিনি না। কি করতে হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানী হতে? বাংলাদেশীদের জন্য, যারা চিকিৎসাবিজ্ঞানের পুরোটা দেখতে চান, তাদের আসলে অনেক দূর যেতে হয়। প্রথমতঃ বেসিক সায়েন্স বা এপিডেমিওলজি যেকোনো একটাতে খুব দক্ষ হয়ে ওঠা; এর মানে সাধারণত ডক্টরেট করা। আর দ্বিতীয়ত, ক্লিনিকাল প্র্যাকটিসের জন্য আমেরিকার লাইসেন্স করা। আমি আমেরিকা বলছি কারণ, এই ফিজিশিয়ান-সায়েন্টিস্টের ধারণাটা মুলতঃ আমেরিকান। বিদেশী ডাক্তারদের ক্লিনিকাল ফিল্ডে ঢুকতে দেয় সবচেয়ে বেশি আমেরিকা। কোনটা আগে করতে হবে, ইউএসএমএলই না পিএইচডি? যেটা আপনার ইচ্ছা। যদি মনে করেন, ডক্টরেট করার সময় আমি দুনিয়ার আর কোন কিছু ভাবতে আপনি রাজি নন, তাহলে ইউএসএমএলই আগে করে ফেলুন। আর যদি মনে হয় আপনি ডক্টরেট করার সময় ইউএসএমএলই দেবেন, সেটাও করতে পারেন। একটা ভাল পদ্ধতি হল, ইউএসএমএলই স্টেপ ১ বা ২ টা দিয়ে তারপর রিসার্চ এর একটা ভাল চাকরি করা (যেমন আইসিডিডিআর, বি)। এরপর জিআরই আর টোফেল দিয়ে ফেলা। এরপর ক্লিনিকাল রেসিডেন্সি ট্রেনিং আর ডক্টরাল অ্যাডমিশন দুটোই এপ্লাই করা। এমনকি মাস্টার্স এর জন্যও আবেদন করতে পারেন (ফিজিশিয়ান সায়েন্টিস্ট হতে হলে যে পিএইচডি করতেই হবে এমন কোন কথা নেই, আপনাকে আপনার গবেষণার কাজটা জানতে হবে, এটাই আসল কথা)। যেটা আগে সুযোগ আসে। একটা সুযোগ আসলে সেটা শেষ করে, আরেকটা পরে করতে হবে। এবং দ্বিতীয়টা করা প্রথমটার চেয়ে সহজ হবে। সত্যিটা হল, প্রথমবারের সুযোগ পাওয়াটা একটু কঠিন। মনে হচ্ছে অনেক কঠিন? কিছুটা তো অবশ্যই। তবে এই বহুমুখী যাত্রার একটা সুবিধা হল কোন একদিকে একটা সুযোগ তৈরি হওয়াটা সহজ। তবে সব কিছুর পরও একটু শক্ত মনের হতেই হবে। ফিজিশিয়ান সায়েন্টিস্ট (যাদেরকে আমি চিকিৎসা বিজ্ঞানী বলছি) হচ্ছে নেতার পদ। একটা দলে সদস্য অনেক থাকতে পারে, নেতা একজন। অতএব, নেতা হওয়া একটু কঠিন বইকি। তবে বার্নাড শ এর মোটামুটি এরকম একটা কথা আছে, দুনিয়াতে দুই রকম মানুষ আছেন; একরকম দুনিয়ার সাথে মানিয়ে নিজেকে মানিয়ে নেন। আরেক রকম দুনিয়াকে নিজের সাথে মানিয়ে নেন। দুনিয়াতে নতুন কোন কাজ এই দ্বিতীয় দলকে ছাড়া হয়নি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের দুনিয়াকে পাল্টে দেবার কাজটা করেন যে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা, তা হতে গেলে একটু কষ্ট করতে হবে,এ আর আশ্চর্য কি?
প্ল্যাটফর্মের প্রতিটি সংখ্যায় চিকিৎসা গবেষণা কে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন লেখা প্রকাশিত হয়। প্ল্যাটফর্মের পঞ্চম সংখ্যা প্রকাশিত হচ্ছে আগামী অক্টোবরে।
লেখক কি রেসিডেন্সী করছেন নাকি লিডার হচ্ছেন জানালে খুশি হবো।
মজার প্রশ্ন। লেখক লিডার হচ্ছেন। হা হা হা…