০১।
ক। রোগী আমার কোন প্রেসক্রিপশন নিয়ে তোমার কাছে গেলে তুমি কি আমার চিকিৎসার বদনাম কর?
খ। নাকি, বলে দাও… দেখুন, ঐ ডাক্তার তো ঠিক চিকিৎসাই দিয়েছিলেন…কাজ যে কেন হল না… আচ্ছা, আমি দু একটা ঔষধ চেঞ্জ করে দিচ্ছি… দেখা যাক কাজ হয় কিনা…
০২।
ক। রোগীরা যখন আমার প্রেসক্রিপশন নিয়ে তোমার কাছে যায়… এবং বুঝতে পার চিকিৎসা ঠিক ছিল… তখন কি তুমি কোম্পানীর নাম পাল্টিয়ে একই ঔষধ প্রেসক্রাইব কর?
খ। নাকি, বলে দাও… দেখুন, আপনি যে ডাক্তার দেখিয়েছেন তাঁর চিকিৎসা ঠিক আছে… ভাল হয়, আপনি তাঁর সাথে আবার দেখা করেন।
০৩।
ক। চিকিৎসায় কিছু জটিলতা প্রত্যাশিত…এমন জটিলতা নিয়ে আমার কোন রোগী যখন তোমার কাছে যায়… তখন কি তুমি নিজেকে জাহির করে বল… কি সর্বনাশ উনি এটা কি করেছেন… ওনার তো এভাবে চিকিৎসা দেয়া ঠিক হয় নাই…!
খ। নাকি বলে দাও… দেখুন, চিকিৎসায় কিছু জটিলতা হতেই পারে… উনি করাতে যেটা হয়েছে… আমি করলেও সেটা হত… আমি চেষ্টা করছি… যেন আপনি এ সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পান…
০৪।
ক। আমি তোমার ছাত্র…আমি তোমার চেয়েও বড় ডাক্তার হতে পারি… সে ভয়ে কি তুমি আমার সফলতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াও…
খ। নাকি, ভাব… এই ছাত্রটি এগিয়ে যাওয়া মানে তোমারো এগিয়ে যাওয়া… কারণ যে পথ দেখায় সে থাকে এগিয়ে…
০৫।
ক। তুমি জান এ রোগীটা তোমার না… তারপরও রেফার না করে দিনের পর দিন তোমার আন্ডারেই রেখে দাও…?
খ। নাকি, রোগীকে বলে দাও… দেখুন, আমি আমার সাধ্যমত চিকিৎসা দিয়েছি…বাকী চিকিৎসার জন্য অমুক ডাক্তার দেখালে আপনার জন্য ভাল হবে…
০৬।
ক। আমার মা বাবা যখন তোমার চেম্বারে হাজির হয়… তখন কি তুমি বিরক্ত হও… ভাব, ভিজিটটা পাওয়া যাবেনা…?
খ। নাকি ভাব, আমার মা বাবাও একদিন কোন ডাক্তারের কাছে যেতে পারে… কলিগের আত্মীয় হিসেবে আমার উচিত তাঁকে অনেক বেশি শ্রদ্ধা দেখানো…
০৭।
ক। তুমি কি আমার পোস্টিং…সফলতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি কর?
খ। নাকি ভাব, আমার কলিগ এগোলে…আমিও একদিন এগিয়ে যাব… উপকৃত হবে দেশের মানুষও…
…
কিছু মনে কর না ডাক্তার… সব প্রশ্নের উত্তর যদি ‘ক’ হয়… তবে, তুমি ছাড়া এই দেশে আমার বড় কোন শত্রু নাই। হে শত্রু, তবুও দোয়া তুমি এগিয়ে যাও… মনে রেখ, সামনে জ্বলতে থাকা লাল সিগনালে তোমার সাথে আমার দেখা হবেই…!!!
ডাঃ সাকলায়েন রাসেল। চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মী
Doctor ja ki ta akjon doctor bujha.
afsos…..amader besir vag er answer hoito ” ko ” hobe….