১। হাসপাতালে যাওয়ার আগে অবশ্যই হাসপাতালটি সম্পর্কে জেনে যাবেন। বিশেষ করে বিল, টেস্ট, চিকিৎসার মান, টেস্টের মান, চিকিৎসকদের পরিচিতি, রোগীর চাপ, টাইম টেবিল, পরিবেশ, ফ্যাসিলিটি, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি।
২। আর হাসপাতালে যাওয়ার পর হৈহল্লা করে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করবেন না। কারণ ওখানে আরও রুগী আছেন যারা ভয় পেয়ে যাবেন।
৩। প্রতিটি পেশা ভাল খারাপে মিশ্রিত। এক এক চিকিৎসকের ব্যবহার এক এক রকম। চয়েস আপনার হাতে। এক এক চিকিৎসকের ভিজিট এক এক রকম। চয়েস আপনার হাতে। এক এক চিকিৎসকের সময়- নীতি এক এক রকম। চয়েস আপনার হাতে। এমন তো আর নয় যে, চিকিৎসকেরা তাদের নিজের চেম্বারে বা ক্লিনিকে যাওয়ার জন্য আপনাকে ভয় দেখিয়ে বা অনুনয়- বিনয় করে বাধ্য করে।
৩। যদি কোন চিকিৎসক এর চিকিৎসা আপনার পছন্দ না হয়, তবে তাকে পরিহার করুন। কিন্তু পুরো চিকিৎসক সমাজকে গালি দিবেন না।
৪। যদি কোন চিকিৎসক ইচ্ছাকৃতভাবে আপনার সাথে দুর্ব্যবহার করে বা ক্ষতি করে, সিস্টেম অনুযায়ী অভিযোগ করুন।
বিএমডিসি তদন্ত করবে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিও দিবে।
৫। রুগীদের সময় দিয়ে দেখে এমন চিকিৎসক অনেক আছেন। ভিজিট ৫০০ টাকার কম এমন চিকিৎসকও অনেক। রাস্তার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে, প্রতিটি শহরে, গ্রামে, থানায় দু- চারজন আন্তরিক ডাক্তার এর সুনাম আপনি শুনেই থাকবেন।
৬। ছোটখাট সমস্যার জন্য বড় বড় ডিগ্রিধারী ডাক্তার খুঁজবেন না। কারণ, বড় বড় সমস্যা আছে এমন রোগীকে তারা বেশি গুরুত্ব দেবে আপনার ছোটখাটো সমস্যার চেয়ে।
আর আপনারও মন ভরবে না। ফলে মনে হবে যে, আপনার সময় ও টাকার অপচয় হয়েছে। স্থলপথ শুকনো থাকলে অযথা কেন পানিপথের টিকিট কাটবেন?
সুতরাং বুঝে শুনে ভেবে সিদ্ধান্ত নিন।
মনে রাখবেন, বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, যা শুধু তার ক্লায়েন্টকে সার্ভিস বা সেবা বিক্রি করবে।
বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক বা চেম্বার জণগণের ট্যাক্সের টাকায় চালিত হয় নয় যে, যেকোনো মূল্যে তা আপনার প্রতি অনুগত – বাধ্য থাকবে।
শুধু আস্থা রাখুন।
লিখেছেন:
Dr Farzana Arjumand Arju
Associate professor, NIPSOM