শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫
হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস নিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরে গত ০৮ জানুয়ারি এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, চীন সহ উপমহাদেশে বিভিন্ন দেশে HMPV ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং ভাইরাসের তীব্রতা উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশী বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বেশী দেখা যায়। সেই সাথে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন হাপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনাবি ডিজিজ, গর্ভবর্তী মহিলা এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের মত বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। সম্প্রতি চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রার্দুভাব দেখা দেয়ায় বাংলাদেশ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। যার জন্য সকল স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র এবং পয়েন্টস অব এন্ট্রি সমূহে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন। এই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিম্নে বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করা এবং জনগনের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করা হলো।
সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনা সমূহ:
১। শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগ সমূহ হতে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
২। হাঁচি/কাশি সময়/বাহু/ টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।
৩। ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনা যুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৪। আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সংম্পন্ন এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দুরত্ব বজায় রাখুন।
৫। ঘনঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)
৬। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না।
৭। আপনি জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন। প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
সিডিসি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিস্থিতির উপর সর্তক দৃষ্টি রাখছে। হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের মত ফু এর মত উপসর্গ সৃষ্টি করে। যা সাধারনত ২-৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়।
প্ল্যাটফর্ম/