মঙ্গলবার, ২২অক্টোবর,২০২৪
মিশরকে ম্যালেরিয়ামুক্ত ৪৪৩ম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ অর্জন দেশটির জন্য ‘সত্যিকার অর্থে ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের সংস্থাটি। এক প্রতিবেদনে সোমবার (২০ অক্টোবর) এ তথ্য সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ডব্লিউএইচও’র প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, “মিশরীয় সভ্যতার মতোই প্রাচীন রোগ ম্যালেরিয়া। রোগটি মিশরের ফারাওদের জন্যও বড় ধরনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এখন থেকে মিশরের জন্য রোগটি শুধুই ইতিহাস।”
মিশর কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০০ বছর আগে প্রাণঘাতী মশাবাহিত সংক্রামক রোগটি নির্মূল করার জন্য প্রথম প্রচেষ্টা শুরু করে। প্রায় তিন বছর ধরে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণের ধারা রুখে দিতে সক্ষম হওয়ায় দেশটিকে এই স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ছয় লাখ মানুষ মারা যায়। এর বেশির ভাগই আফ্রিকা মহাদেশে।
এক বিবৃতিতে এই রোগের অবসান ঘটানোর জন্য মিশরের সরকার ও জনগণের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে ডব্লিউএইচও। সংস্থাটির বলেছে, ডব্লিউএইচওর পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় দেশ হিসেবে ম্যালেরিয়ামুক্ত দেশের স্বীকৃতি পেল মিশর। এর আগে অঞ্চলটিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো এই স্বীকৃতি পেয়েছিল।
বিশ্বজুড়ে ৪৪টি দেশ ও একটি অঞ্চল ম্যালেরিয়ামুক্ত হওয়ার মাইলফলক অর্জন করেছে। তবে ডব্লিউএইচও বলেছে, এই স্বীকৃতি একটি নতুন অধ্যায়ের শুরু মাত্র। মিশরের প্রতি এই স্বীকৃতি ধরে রাখার আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।
উল্লেখ্য যে, ম্যালেরিয়া স্ত্রী-অ্যানোফিলিস মশার কামড়ের মাধ্যমে সংক্রামিত হয়। বেশ কিছু দেশে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে, রোগ পর্যবেক্ষণ করা এবং মশার কামড় এড়ানো ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদকঃ মঈন উদ্দীন আহমদ শিবলী