বিগত চার মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে আছে, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এর ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ।
এছাড়া, প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ দিন পার হলেও, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিজস্ব ক্যাম্পাস চালু হয় নি। তাই, ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালেই অস্থায়ী ক্যাম্পাসে অপ্রতুল ও সীমাবদ্ধতার মধ্যে ইন্টার্নশিপ করছেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এর ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ।
প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক স্থাপত্যে নির্মিত হয় কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। নানা সংকটে কলেজের ৭ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত চালু হয়নি হাসপাতালের কার্যক্রম।
এদিকে, বিশাল হাসপাতাল ভবন ও অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি করা হলেও যন্ত্রপাতি ও প্রশাসনিক জঠিলতার কারণে দীর্ঘদিনেও কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু হয়নি। ফলে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে পাস করা চিকিৎসকরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করতে বাধ্য হয়েছেন। বর্তমানে দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপ করছেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, ইন্টার্নশিপ নিয়ে চরম বিপাকে আছেন তারা। আধুনিক যন্ত্রপাতি, প্যাথলজি, রেডিওলজিসহ উচ্চতর ডিগ্রিধারী চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির মধ্যে তাদের ইন্টার্নশিপ করতে হচ্ছে। তারা শিগগিরই হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানান।
ফাইনাল প্রফ পাস করে, ইন্টার্নশিপ এর বয়স ৪ মাস অতিক্রম করলেও, ভাতা পান নি, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কতৃপক্ষ বার বার মিথ্যে আশ্বাস দিলেও, আশানুরুপ কোন সাড়া না পেয়ে, অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান, উক্ত হাসপাতালটির ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।