প্ল্যাটফর্ম নিউজ, সোমবার, ৮ জুন ,২০২০
করোনা পরিস্থিতিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আদেশক্রমে বাংলাদেশের সকল সরকারি এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ছিল। সম্প্রতি ৮ জুন ২০২০, সোমবার ডিন চিকিৎসা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এতে শিক্ষা ক্ষেত্রে চলমান স্থবিরতা কাটাতে ডিন চিকিৎসা অনুষদ এর অধীনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর বিভাগীয় প্রধান দের অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে । করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ।
এই নির্দেশ নিয়ে ফেইসবুক গ্রুপ গুলোতে কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্ল্যাটফর্ম গ্রুপে ডা. এহেসান আহমেদ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন,
“গত ৩১ মে ২০২০ এ অনলাইনে অনুষ্ঠিত ফেসবুক লাইভে “অনলাইন এডুকেশন” বিষয়ক অলোচনা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং আইটি বিশেষজ্ঞ ড. রাগীব হাসান। উক্ত লাইভে জনাব কায়কোবাদ বলেন “নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হলে তার সাথে বৈষম্য যুক্ত হয় ” অর্থাৎ আমরা যদি অনলাইন প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করি কিছু শিক্ষার্থী বঞ্চিত হবে। অপরদিকে রাগিব হাসান বলেন “হয় ইন্টারনেট খরচ কমাতে হবে, নয়তো একাধিক প্রযুক্তির কম্বাইন্ড ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে।” অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, বৈষম্য আমরা একটা যোগ করছি । সেটার সম্ভাব্য কিছু সমাধান আমাদের সামনে আছে।কিন্তু সমাধান নিয়ে কে ভাববে? পরিকল্পনা কোথায়? হতাশ হচ্ছি প্রতিনিয়ত।”
উল্লেখ্য যে ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা ছাড়া অন্যান্য জেলা শহরের ইন্টারনেট ব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ থাকে। ইন্টারনেট এর স্পিড এবং নেটওয়ার্ক স্ট্যাবিলিটি ভাল না থাকার ফলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে অসুবিধা হয়। এমতাবস্থায় ঢাকার বাহিরে থাকা শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস নিশ্চিত হবে কিনা অথবা এরকম সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও দিক নির্দেশনাহীন পদক্ষেপ আসলে শিক্ষার্থীদের কতটুকু সুফল বয়ে আনবে বিষয়ে সংশয় আছে।