প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, শনিবার
প্রেস রিলিজঃ
বাংলাদেশে মানবসেবায় নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর মধ্যে বরাবরই সবচেয়ে উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে চলেছে মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত সবচেয়ে প্রাণবন্তকর সংগঠন “সন্ধানী”। করোনাকালীন এই দুর্দিনেও রক্তদান, মরণোত্তর চক্ষুদান, কনভালেসেন্ট প্লাজমা সংগ্রহ, বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণ, শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরণ, করোনাকালীন দুস্থ-অসহায়দের আর্থিক সাহায্যসহ নানা ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে বিন্দুমাত্র পিছপা হয়নি “সন্ধানী” ।
সকল দায়িত্বই এতো সূক্ষ্ম ও সাবলীলভাবে পালন করার পিছনে সন্ধানীর যেই বিষয়টি বরাবরই প্রশংসার দাবিদার তা হচ্ছে সময়ের সাথে যোগ্য ও দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর আয়োজিত হয় সন্ধানীর কেন্দ্রীয় বার্ষিক সম্মেলন। ভয়াল করোনা পরিস্থিতির কারণে এই বছর কিছুটা দেরীতে হলেও ৪ ডিসেম্বর সিলেটের এক্সেলসিয়র রিসর্টে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হয় সন্ধানীর ৩৯ তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক সম্মেলন, যার আয়োজনে ছিল সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ এবং সহযোগিতায় ছিলো সন্ধানী এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ইউনিট ৷
উক্ত সম্মেলনে হাউজের সভাপতিত্ব করেন রাজিব আহসান সুমন (সহ-সভাপতি-১, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ২০১৯-২০), সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন ওয়াসিম আব্বাস (সহ সাধারণ সম্পাদক, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ২০১৯-২০) এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন জি. এম রিফাত (কার্যকরী সদস্য-১, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ২০১৯-২০)। এসময় হাউজের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, শ্রদ্ধেয় উপদেষ্টামন্ডলী এবং সন্ধানীর ইউনিট সমূহের উপস্থিতিতে গঠনমূলক আলোচনা, ইউনিটগুলোর সাধারণ সম্পাদকের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন, ২০২০-২০২১ সেশনের জন্য ইউনিটসমূহের কার্যকরী পরিষদ ঘোষণা, ২০২০-২০২১ সেশনের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ ঘোষণা এবং নবগঠিত কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ এর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।
নবগঠিত কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন লুৎফর রহমান মিলন (সভাপতি, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ২০২০-২১), নাজমুল আলম (সাধারণ সম্পাদক, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ২০২০-২১), মো: হেদায়েতুল কবীর জিসান (সাংগঠনিক সম্পাদক, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ২০২০-২১)।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, প্রতিবছর মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাস গুলোতে সন্ধানীর বার্ষিক সম্মেলন গুলো অনুষ্ঠিত হলেও এবার করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে এবং কড়াকড়ি ভাবে স্বাস্থ্যবিধিসমূহ মেনে চলার জন্য সম্মেলনটি সিলেটের এক্সেলসিওর রিসর্টে আয়োজন করা হয়।
সমাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণের জন্য উক্ত স্থানে ৪ ও ৫ ডিসেম্বর সন্ধানীর সম্মেলন এর সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিবর্গ ব্যাতীত সকল জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ছিল।
এমন একটি কঠিন সময়ে দেশে সন্ধানীর মতো প্রথম সারির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর এত সুন্দর আয়োজন সত্যিই প্রসংশার দাবিদার। নিজেদের মধ্যে এমন মেলবন্ধন ধরে রেখে এই সংগঠনটি ভবিষ্যতে আরো অনেকদূর এগিয়ে যাক এবং বাংলাদেশে সন্ধানীর হাত ধরে রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান নামক যেই অতি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল তার বীজ সকল অন্তরে গেঁথে যাক সেই প্রার্থনা সবার ।