প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২০, সোমবার
সম্প্রতি, দেশের জেলাভিত্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে বেশ কিছু সাহসী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফরিদপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর ৩৯তম বিসিএস(স্বাস্থ্য) এর মাধ্যমে একদল নবীন কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকেই সংশ্লিষ্ট জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জেলার স্বাস্থ্য সেবায় নিয়মিত মনিটরিং প্রক্রিয়া জোরদার করে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো,
#জেলার বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে আবশ্যিকভাবে সরকারী বিধি মোতাবেক বিএমডিসি নিবন্ধিত এমবিবিএস/ বিডিএস ডিগ্রীধারী চিকিৎসক নিয়োগ নিশ্চিতকরণ
#ভুয়া চিকিৎসকদের চিহ্নিতকরণ
#বিভিন্ন ক্লিনিকে ভুয়া চিকিৎসককে দিয়ে অপচিকিৎসা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ
#রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ব্যতীত অন্য কারো দ্বারা অস্ত্রোপচরারের ন্যায় জটিল কাজ করানো এবং তাদের সাহায্যকারী হিসেবে নিয়োগ প্রতিহত করা প্রভৃতি
এছাড়াও, ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ইতোমধ্যে জেলায় নিয়ম অমান্যকারী একাধিক ক্লিনিককে শাস্তি প্রদান ও সতর্ক করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ ছিদ্দীকুর রহমানের নেতৃত্বে ডা. মাহফুজুর রহমান বুলু, ইউএইচএফপিও, সদর, ফরিদপুর, সাধারণ সম্পাদক, বিএমএ, ডা. মো. নাসিম উদ্দিন (৩৯ এমওসিএস, ফরিদপুর) এর সমন্বয়ে ফরিদপুরের বিভিন্ন ক্লিনিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে সতর্কতামূলক নির্দেশ জারি করতে পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা বরাবর একটি চিঠিও প্রেরণ করেন।
গতকাল ৬ই ডিসেম্বর, ২০২০ ইং তারিখ রবিবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ), ডা. মোঃ ফরিদ হোসেন মিঞা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেন। যেখানে বলা হয়, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রোপচারের সময় সার্জনদের সাথে প্রথম সহকারী এসিসট্যান্ট হিসেবে রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ব্যতীত অন্য কারো কোনো অংশগ্রহণ অনুমোদিত নয় এবং বিষয়টি নিশ্চিত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি নির্দেশ প্রদান করেন।
নির্দেশনাটি জারির পর এ ধরনের প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন দেশের বিভিন্ন মহলের চিকিৎসক ও নীতিনির্ধারকগণ।