বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫
অপুষ্টির কারণে দেশে এখনো পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ২৬ শতাংশের বেশি খর্বকায়, ২৩ শতাংশ শিশু কম ওজন নিয়ে জন্ম নিচ্ছে, ৪৩ শতাংশ শিশু এবং ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ৩৭ শতাংশ কিশোরী ও নারী রক্তস্বল্পতায় ভুগছে। গতকাল বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য তুলে ধরে পুষ্টি খাতে বহুখাতমুখী পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়।
রাজধানীর এক হোটেলে ‘বাংলাদেশে পুষ্টি খাতে বিনিয়োগ: প্রয়োজনীয়তা, চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ’ শিরোনামে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক মনোজ কুমার, সংস্থার এশিয়ার আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থাপক জিজ্ঞাসা নাওয়ানি, বাংলাদেশের পরিচালক (কান্ট্রি ডিরেক্টর) সায়কা সিরাজ ও ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর আসফিয়া আজিম।
সভায় বলা হয়, দেশে শৈশবকালীন অপুষ্টি এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে। গত এক দশকে পুষ্টি খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হলেও খর্বকায় ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে বাংলাদেশ। প্রজননক্ষম কিশোরী ও নারীদের ৩৭ শতাংশ রক্তস্বল্পতায় ভুগছে। কিশোরী মেয়েদের গর্ভধারণের হারের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। প্রতি হাজারে ১১৩ জন কিশোরী ১৯ বছর বয়সের আগে মা হচ্ছে। এসব বিষয় দেশে অপুষ্টিজনিত বড় বোঝা তৈরি করছে।
নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শিশু, কিশোরী ও নারীদের মধ্যে খর্বকায় ও রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ বাড়ালে বাংলাদেশ কমপক্ষে ১ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার (১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার বেশি) বাঁচাতে পারে, যা দেশের মোট দেশজ আয়ের (জিএনআই) ২ দশমিক ৮ শতাংশ। পুষ্টি শুধু স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে না, এটা অর্থনৈতিক উৎপাদন, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নেও প্রভাব ফেলে। তাই পুষ্টির বিষয়টি অন্যান্য খাতের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রমের আওতায় স্কুলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রীদের আয়রন ফলিক অ্যাসিড (আইএফএ) ট্যাবলেট বিতরণের জন্য এ খাতে আলাদা বরাদ্দ রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়।
প্ল্যাটফর্ম/