রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্রজনতা আন্দোলনের এক অনন্য নায়ক রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শহীদ আবু সাইদ। ১৬ জুলাই, ২০২৪ দুই হাত প্রাসারিত করে বুক টান টান করে দাঁড়িয়ে থাকেন ফ্যাসিস্ট শাসকের গুলির সামনে। এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় আবু সাঈদের।
মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রাজিবুল ইসলামের হাতে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় আবু সাঈদ শটগান পেলেটের আঘাতে মারা যান।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে পরই বাইরে থেকে চাপ আসতে শুরু করে ডা: রাজিবুল ইসলামের কাছে। মোট ছয়বার প্রতিবেদন পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হয় তাকে। মাথায় আঘাত, বিভিন্ন ক্ষত এবং সাঈদের শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত জমাট বাঁধার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে বলা হয় এবং উপসংহার হিসেবে এসব আঘাতের কারণ হিসাবে জানানো হয় ‘শক’ এবং ‘রক্তক্ষরণে’ আবু সাঈদের মৃত্যু হয়েছে।
৫ আগষ্টের পর তদন্তে নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। তদন্তকারী দলের অনুসন্ধানে মোট চার জনের নাম উঠে আসে যারা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বদলাতে ওই ফরেনসিক চিকিৎসক উপর চাপ প্রয়োগ করেন।এদের মধ্যে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দুজন প্রাক্তন উপকমিশনার, রংপুর মেডিকেল কলেজের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগপন্থি ডাক্তারদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) একজন নেতা রয়েছেন।
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদক : মো: রাহাত হাছান