২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ১৫ দিনের মাঝে মশার ঘনত্ব বাড়বে রেকর্ডসংখ্যক, গবেষণার মাধ্যমে এমনই তথ্য দিয়েছেন ঢাকার একদল গবেষক।
গবেষক দলের প্রধান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার জানান, ঢাকায় মশা জন্মানো স্থানগুলো পর্যবেক্ষণ করে সেখান থেকে মশা সংগ্রহ করা হয়েছে প্রথমে, পরে সেটি ল্যাবে নিয়ে শনাক্ত করা হয়।
মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরজীবনের সত্যতা মিলেছে এই গবেষণার সাথে। গবেষকরা বলেছেন, ঢাকায় পাওয়া ১৩ প্রজাতির মশার মধ্যে ৯৫ শতাংশই কিউলেক্স মশা। জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী মাস এই মশার বংশবৃদ্ধির জন্যে আদর্শ সময়। একই সাথে পরিমাণে কম হলেও পাওয়া যাচ্ছে এডিস মশা, যার দ্বারা ছড়ানো ডেঙ্গু গতবার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। গবেষকরা সতর্ক করে দিয়েছেন, এখনই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে মার্চ মাস নাগাদ মশার উৎপাত হবে ভয়াবহ।
মশার লার্ভার উপস্থিতি হিসাব করা হয় ব্রুটো ইনডেক্সের মাধ্যমে। জরিপে প্রতি ১০০ প্রজনন স্থলের মধ্যে ২০টি বা তার বেশিতে যদি এডিস মশার লার্ভা বা পিউপা পাওয়া যায়, তাহলে সেটাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি’ বলা যায়। এই জরিপ অনুযায়ী, জানুয়ারিতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরীবাগ ও শাহবাগ এলাকায় মশার ব্রুটো ইনডেক্স ছিল সবচেয়ে বেশি ২৬ দশমিক ৬৭। এ ছাড়া লালমাটিয়া-মোহাম্মদপুরে ১০, গুলশান-বনানীতে শূন্য, বাসাবো-খিলগাঁওয়ে ১৩ দশমিক ৩৩, শাখারীবাজার ও পাটুয়াটুলীতে ১৩ দশমিক ৩৩। ফেব্রুয়ারিতে এখন পর্যন্ত গুলশান-বনানী এবং লালমাটিয়া-মোহাম্মদপুর এ দুটি অঞ্চলের তথ্য নেওয়া হয়েছে। এতে দেখা যায়, গুলশানে ব্রুটো ইনডেক্স ২০ হয়েছে। লালমাটিয়ায় কমে হয়েছে ৬ দশমিক ৬৭।
ড্রেন, ডোবা চলন্ত করে দেয়া, লার্ভিসাইড প্রয়োগ ও জনসচেতনতার মাধ্যমে মশার প্রজননস্থল ধংস করা এখনই জরুরী বলে জানিয়েছেন তারা। নতুবা গতবারের চেয়েও ভয়াবহ আকারে আগমন হতে পারে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার।