আজ ২৫তম বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। এই বছরের স্লোগান- “Its time “। Robert Koch কর্তৃক মাইকোব্যাক্টরিয়াম টিউবারকিউলসিস জীবাণু আবিস্কারের এই দিনটিকে ১৯৯৫ সাল হতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। যক্ষ্মা বায়ুবাহিত সংক্রামক ব্যাধি এবং বিশ্বে শীর্ষ আটটি মানুষের মৃত্যুর কারণের অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব মতে ২০১৭ সালে সারা পৃথিবীতে ১.৬ মিলিয়ন মানুষ যক্ষ্মা রোগে মৃত্যু বরণ করেন এবং ১০ মিলিয়ন রোগে আক্রান্ত হয়। ১০ মিলিয়নের মধ্যে মাত্র ৬.৪ মিলিয়ন(৬৪%) রোগী নিজ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রিপোর্ট হয়েছে এবং বাকিরা চিকিৎসা আওতা বর্হিভূত রয়েছে। ২০১৭ সালে বিশ্বে সর্বমোট ১৬০৬৮৪ রোগী ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয় এবং তার মধ্যে ১৩৯১১৪ (৮৭%) চিকিৎসা আওতাধীন ছিল। প্রতিদিন প্রায় ২০০ শিশু যক্ষ্মা রোগে মৃত্যু বরণ করে। সারা বিশ্বে যক্ষ্মা চিকিৎসায় সাফল্যের ৮২%। যক্ষ্মা রোগের ভয়াবহ প্রকোপের কারণে একে Global Epidemic হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশে আক্রান্তের হার(New & Relapse)-২২১/১০০০০০ জনসংখ্যা। ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় আক্রান্তের হার-১.৬%(New) এবং ২৯%( Prev. treated)। প্রতি লাখে প্রায় ৩৬ জন যক্ষ্মা রোগে মৃত্যু বরণ করে। এখনও প্রায় ৩৮ % মানুষ যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসার আওতার বাইরে। তাই আসুন সম্মিলিত ভাবে এই মহামারীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিই-এখনই সময় অঙ্গীকার করার, যক্ষ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার।
ডা. শাওন বড়ুয়া
ইউ এস টি সি
২০০৫-২০০৬
তথ্যসূত্র: World TB Report 2018(WHO)